বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কেশসা নদীতে ছোট একটি সেতু হবে এটাই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। বাঁশের সাঁকোই যাদের একমাত্র ভরসা। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষ। কেশসা নদীতে একটি সেতুর অভাবে উন্নয়নবঞ্চিত ইশবপুর, নোয়াগাঁও, মুন্সিরগাঁও, ভ্রামনঝুলি, পাঠনচক, আমতৈল গাজীর মোকাম, সোনালী বাংলাবাজার, বৈরাগীবাজার এলাকার মানুষ। বার বার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়ে আসলেও হয়নি কোন সেতু। বঞ্চিত ওইসব মানুষকে উন্নয়নমুখী করতে কেশসা নদীতে একটি সেতুর কোন বিকল্প নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষক, শ্রমিক, শিশু, বৃদ্ধ, রোগী, ছাত্রছাত্রী ও গর্ভবতীসহ শত শত মানুষকে চলাচল করতে হয় নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়েই।
জানাযায়, উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রাম পল্লী এলাকা হওয়া সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই এলাকার জনসাধারণ। আবার অনেক স্থানে রাস্তার অস্তিত্ব প্রায় বিলীন। এ ইউনিয়নের শাখারিকোনা গ্রামের মধ্যখান দিয়ে বয়ে যায় কেশসা নদী। ওই নদীর ওপর রয়েছে বাঁশের সাঁকো ব্রীজ। বর্ষাকালে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের পুহাতে হয় দূর্ভোগ।
এলাকাবাসী জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা শত ওয়াদা দিলেও তা বাস্তবে মিলছে না। কেশসা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোরদাবী জানান তারা।
এব্যাপারে কৃষক কামাল উদ্দিন, বাবুল মিয়া বলেন, অধিকারবঞ্চিত ও অবহেলিত এ এলাকার মানুষ। উপজেলা শহর থেকে কেশসা নদী মাত্র ৯/১০ কিলোমিটারের পথ হলেও একটি সেতু আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। এটুকু রাস্তা যেতে আমাদের কাছে মনে হয় শত কিলোমিটারের পথ। স্বাধীনতার প্রায় ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ওইসব এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এতে কোনো ফল হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন।
লামাকাজি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া এলাকার মানুষ বঞ্চিতের কথা স্বীকার করে বলন, এলাকার মানুষ বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নতি করতে। কেশসা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মিত হলে এ এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।