ঈশ্বরদীতে ছাত্রী ধর্ষণ,ভিডিও ধারণ ও মোবাইলে শেয়ার করায় ১২ যুবক গ্রেফতার

পণ্যগ্রাফী,ডিজিটাল আইন ও ধর্ষণের মত অপরাধ আইনে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ১২ যুবককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। শনিবার গভীর রাতে সাহাপুর ও মহাদেবপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে রবিবার বিকেলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেফতার কৃতরা হলো মহাদেবপুর এলাকার মঞ্জুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান,রেজাউল মন্ডলের ছেলে রাজিব মন্ডল ও আজিজুর ফকিরের ছেলে রাসেলসহ ১২ জন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকির দেওয়া তথ্য ও মেয়ের পিতা শফিকুল ইসলামের দেওয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়,ছলিমপুর কলেজের এক ছাত্রীকে পথিমধ্যে নিয়মিত উত্যক্ত করত মহাদেব পুরের মেহেদী হাসান। এভাবে উত্যক্ত করা অব্যাহত রাখা অবস্থায় গত ৫.৬.২০১৯ ইং তারিখে ঐ ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিজ স্বয়ন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে । একই সময় সে গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও স্টীল ফটো তুলে রাখে। ধর্ষণ শেষে মেহেদী ঐ ছাত্রীকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে সে তার বন্ধু রাজিব মন্ডলের কম্পিউটারে মোবাইলে ধারণকৃত সকলপ্রকার ভিডিও ও স্টীল ছবি সংরক্ষণ করে রাখে।
পরে গত ১৮.০৮.২০১৯ ইং তারিখে ঐ ছাত্রীকে পরিবারের পক্ষ থেকে গোপাল পুরে বিয়ে দেওয়া হয়। এ সংবাদ জানার পর মেহেদী হাসান ও তার বন্ধু রাজিব মন্ডল ঐসব ছবিসহ ভিডিও বিভিন্ন মোবাইলে শেয়ার করে দেয়।