সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর হাতে বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি ও বিশ্বনাথ ইউনয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেটের বিশ্বনাথ থানার বিপরীতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর মার্কেটের দ্বিতীয়তলার সরু রাস্তায় জালাল উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করেন সুহেল চৌধুরী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুহেল চৌধুরী গ্রুপের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দু’জনের মধ্যে একটু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি, সম্প্রতি বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।এদিকে, এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির সুহেল চৌধুরী গ্রুপ ও জালাল উদ্দিন গ্রুপের নেতাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় দু’গ্রুপের নেতাদের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে সুহেল চৌধুরী গ্রুপের নেতারা বিশ্বনাথ পুরান বাজারে আর জালাল উদ্দিন গ্রুপের নেতারা বিশ্বনাথ নতুন বাজারে অবস্থান নিতে দেখাগেছে। এ ঘটনার মোকাবেলা করতে বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) বিকেলে এক জরুরী সভা করেছেন জালাল উদ্দিন পক্ষের নেতারা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনি তাহসিনা রুশদীর লুনার উপস্থিতিতে বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ৮ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অভিযোগ উঠে স্থানীয় এমপি গণফেরাম নেতা মোকাব্বির খানের সঙ্গে সুহেল চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতাদের সখ্যতার বিষয়। যে কারণে সুহেল চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর এতে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গউছ খানকে আহবায়ক করে ২২ সদস্যের একটি খসড়া কমিটি গঠন করে জেলায় পাঠানো হয়।ঘটনার সত্যতা জানতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী ও বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তারা দু’জনের কেউই মোবাইলের ফোনকল রিসিভ করেন নি।তবে, জালাল উদ্দিন গ্রুপের নেতা বিশ্বনাথ বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জেনেছেন। আর এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বৈঠকও করছেন। তবে বৈঠকে সিদ্দান্তের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সিদ্দান্ত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বনাথ বিএনপির নবগঠিত কমিটির সম্ভাব্য আহবায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গউছ খান কমিটি গঠন ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যারা গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খানকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করে তারা বিএনপির হতে পারে না। তাই সুহেল চৌধুরীসহ তার গ্রুপের নেতাদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি তাকে (গউছ খানকে) আহবায়ক করে ২২ সদস্যের একটি কমিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির কোন পক্ষই মামলা কিংবা জিডি করতে থানায় যান নি।