যশোরের শার্শার উলাশীতে ডিবি পুলিশের ঝটিকা অভিযানে পিস্তল, হাতবোমা, রামদা সহ আশিক ও শাহাবুদ্দিন নামের দুইজন আটক হয়েছে বলে জানা গেছে।
আটককৃত আশিকুর রহমান আশিক উপজেলার উলাশী গ্রামের পুর্বপাড়ার শরিফুল ইসলাম পিপুলের ছেলে ও শাহাবুদ্দিন একই উপজেলার সম্বন্ধকাঠি গ্রামের মৃত দাউদ দপ্তরীর ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, উলাশী গ্রামের প্রতক্ষদর্শী জানান, বুধবার বেলা ২টার সময় একটি সাদা রঙের মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো চ ১৫-৬৮১৭) বাসে চড়ে কয়েকজন লোক উলাশী গ্রামের মাঠ পাড়ার ম্যাগনেট কালুর বাড়িতে আসে এবং ম্যাগনেট ক্রয়ের জন্য কালুর কাছে ১কোটি টাকা রেখে চলে যায়। মাইক্রো বাসটি চলে যাওয়ার সময় কালু ও সম্বন্ধকাঠি গ্রামের শাহাবুদ্দিন তাদের বিদায় দেয়।
আধা ঘন্টা পরে শাহাবুদ্দিনের মাদক ব্যবসার পার্টনার ঝিকরগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের গোলামের ছেলে রুবেল, উলাশী গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিলন তাদের দলবল নিয়ে ম্যাগনেট কালুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মাইক্রো বাসের যাত্রীদের রেখে যাওয়া টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ঐদিন রাত অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল ইউপি সদস্য মিলন মেম্বারের বাড়ি ঘেরাও করে তলাশী চালিয়ে একটি পিস্তল, ৮টি হাতবোমা, ৮টি রাম দা ও বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ মিলন মেম্বারের ভাই শরিফুল ইসলাম পিপুলের ছেলে আশিকুর রহমান আশিককে আটক করে। মিলন মেম্বার ও তার ভাই পিপুল কৌশলে পালিয়ে যায়।
ডিবির অভিযানের সময় স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে জড় হয়ে দেখছিল। পরে ভোর বেলা ডিবির অভিযানের দলটি ম্যাগনেট কালুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কালুকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। পরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সম্বন্ধকাঠি গ্রাম থেকে শাহাবুদ্দিনকে আটক করতে সক্ষম হলেও আংশিক পরিমাণ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
তবে ডিবি পুলিশের হাতে আটককৃতদের মুক্ত করার জন্য স্বজনরা দৌড়-ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে বিরাট চাঞ্চল্যকর খবরে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে যশোর ডিবি পুলিশের ওসি’র সরকারী মোবাইল নম্বরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
শার্শা থানা পুলিশের এসআই মামুন জানান, আমরাও শুনেছি মিলন মেম্বরের ভাইপো আশিককে বোমা, রাম দা সহ আটক করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত শার্শা থানায় কোন মামলা হয়নি বা তথ্য দেয়ও হয়নি।