আজ রায় ঘোষনা করা হবে

ইয়ানূর রহমান : যশোরে চাঞ্চল্যকর ছয় শিশু ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার বিচার পেতে চলেছে ভুক্তভোগী ওতার পরিবার। ঘটনার ছয় মাসের মাথায় আজ বুধবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ভুক্তভোগীদের পরিবার এ মামলায় আসামি আমিনুর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছেন। 


আজ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী।
মামলার বিবরণ মতে, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার গড়িমহল গ্রামে হানেফ আলীর ছেলে অভিযুক্ত তিন সন্তানের জনক আমিনুর রহমান যশোর শহরের খড়কি দক্ষিণপাড়া রেল লাইনের পাশে এহসানুল হক সেতুর বাগান বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক। বাগান বাড়িতে ছোট্ট একটি গোলপাতার ঘরে তত্ত্বাবধায়ক আমিনুর অবস্থান করতেন। স্থানীয় মাওলানা শাহ আব্দুল করিম (রহ.) খড়কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে ছোট্ট ছেলে ও মেয়েরা সেতুর বাগানবাড়িতে আম কুড়াতে আসতো। ওই সময় কেয়ারটেকার আমিনুর রহমান ছোট্ট ছোট্ট মেয়েদের আম, চকলেট, ক্যাটবেরি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে লোভ লালসা দিতো। প্রথমে আমিনুর তিনটি শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচার হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে একে একে ৬জন ছাত্রীকে ওই গোলপাতার ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে আমিনুর। এরই মধ্যে একটি মেয়ের অভিভাবক অন্য একজনের অভিভাবককে জানায় গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়েকে আমিনুর রহমান একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে গত ১ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এতে তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়। পুলিশি আটকের ভয়ে আমিনুর বেনাপোলে পালিয়ে চলে যায়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই হায়াত মাহমুদ খান সেখান থেকে ৫ মে আমিনুর রহমানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময় ৫/৬জন শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

পাশাপাশি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওই ৬ শিশুর মধ্যে ৪ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। আর ৬ জনই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরত জাবীন নিম্নীর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

এ মামলার আসামি আমিনুর রহমান এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়।
বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী বলেছেন, বহুল আলোচিত এ মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন। আজ রায় হবে। আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আসামি আমিনুর রহমানের মৃত্যুদন্ড দাবি করেছেন