চাটমোহরে দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী মানব বন্ধন চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবী

আজ ৫ নভেম্বর বিকেল ৩ টায় চাটমোহর উপজেলা পরিষদ গেটে দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম পরিষদ চাটমোহর পাবনার উদ্যোগে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চলমান দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান সফল করতে তারা এ মানব বন্ধনের আয়োজন করে।
চাটমোহর সরকারি কলেজের বর্তমান ও সাবেক ছাত্র ছাত্রী, অভিবাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীসহ সাধারণ মানুষ এ মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করে। চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানকে হঠাও শিক্ষা বাঁচাও, চাটমোহর কলেজ বাঁচাও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দাও, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণ চাই করতে হবে এমন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে বিভিন্ন ¯েøাগান দেন। এসময় দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক, শরীফুল্লাহ সাচ্চু সহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে ‘টাকার মেশিন’ উল্লেখ করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নিতীবাজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ঐতিহ্যবাহী চাটমোহর সরকারি কলেজের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। কলেজটিকে তিনি ধ্বংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নানা রকম দূর্নিতীর মাধ্যমে কলেজের বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাত করেছেন। আমরা তার অপসারণের দাবী জানিয়ে আসছি এবং আমাদের দাবী পূরনে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এসময় সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সাজেদুর রহমান মাষ্টারসহ শেখ ইদ্রিস আলী, শেখ সালাহ উদ্দিন ফিরোজ, বেলাল হোসেন, রিপন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কলেজটি সরকারিকরণ ঘোষণার পর শিক্ষক আত্তীকরণ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের সাথে অধ্যক্ষর বিরোধ শুরু হয়। অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষকেরা মুখ খুলতে শুরু করলে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। সূত্র মতে, অধ্যক্ষ গত ৯ বছরে ৩৫ লাখ টাকা বেতন তুললেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নিতী ভুয়া বিল ভাউচার করে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন গত কয়েক বছরে। এসব নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।