মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যথানিয়মে এবং আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন না করায় চিকিৎসা সেবার মান নিম্নমূখী হয়ে পড়েছে। সে কারণে জনগণের দোড়-গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁচ্ছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। নিয়মানুযায়ী সকাল ৯টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিক সমূহ খোলা রাখার কথা। শুক্রবার বাদে সপ্তাহের সব দিন খোলা রাখার বিধান রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্লিনিক যথানিয়মে খোলা থাকে না। ঢিলাঢালাভাবে চলছে কার্যক্রম দেখার কেউ নেই। এছাড়া অনেক ক্লিনিক যথানিয়মে ব্যবহার, সংস্কার, সংরক্ষণ না করার কারণে দিন-দিন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এসব কারণে সুবিধাভোগীরা চিকিৎসাসেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ভাটিকাপাসিয়া গ্রামের ফরমান আলী জানান, সপ্তাহের ২ হতে ৩ দিন ক্লিনিক খোলা পাওয়া যায় ১ হতে ২ ঘন্টার জন্য। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিন দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে বন্ধ এবং দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটিও বন্ধ ছিল। ওই ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাজমুল হক সাদা জানান, বেতন তোলার জন্য উপজেলা শহরে যাওয়ার কারণে যথানিয়মে খোলা এবং বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া যথানিয়মে খোলা ও বন্ধ রাখা হয়। তিনি বলেন, এফপিএ ও এইচএ শুধুমাত্র ইপিআই এর দিন আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইয়াকুব আলী মোড়ল জানান, সিএইচসিপিগণ যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করে না। নিয়মানুযায়ী শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিক খোলা রাখতে হবে। সিডিউল মোতাবেক সংশ্লিষ্ট এফপিএ এবং এইচএ দায়িত্ব পালন করবে। তিনি দুঃখ করে বলেন, আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন না করায় জনগণ চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এনিয়ে কয়েকজন সিএইচসিপির বেতন ভাতা পযন্ত বন্ধ করা হয়েছিল।