বিশ্বনাথে ফরহাদ মিয়া (২৫) নামের এক দোকান কর্মচারীকে চুরির অভিযোগে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার উছমানপুর গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোরের কর্মচারী। সোমবার দুপুরে এঘটনাটি ঘটে।জানা গেছে, আহত ফরহাদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ স্বপরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ মানিক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছেন। এই সুবাদে সে শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। গতকাল সোমবার দুপুরে মালামাল চুরির অভিযোগে তাকে গালিগালাজ করেন দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রউফ। একপর্যায়ে ফরহাদ মিয়াকে আব্দুর রউফের ছেলে এ কে রাজু ও আব্দুস সালাম মোটরসাইকেলে তুলে উপজেলার হরিকলস গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে মারধার করা হয়। খবর পেয়ে ফরহাদ মিয়াকে বাঁচাতে তার মা মনোয়ারা বেগম বিশ্বনাথ থানায় ছুটে যান। এরপর থানা পুলিশ হরিকলস গ্রামে আব্দুর রউফের বাড়ি থেকে ফরহাদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।আহত ফরহাদ মিয়া অভিযোগ করেন- প্রায় ৪বছর ধরে শাহজালাল ভেরাউটিজ ষ্টোরে কর্মচারী হিসেবে তিনি কাজ করে আসছেন। সোমবার সকাল ৯টায় একই দোকানের কর্মচারী রুহেল মিয়ার সঙ্গে কাজ নিয়ে তার (ফরহাদ) কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বেলা দেড়টায় দুপুরের খাবার খেতে বাসার উদ্দেশ্যে দোকান থেকে বের হন ফরহাদ। তখন কর্মচারী রুহেল দোকানের মালিক আব্দুর রউফকে বলেন, ফরহাদ দোকান থেকে মাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এসময় ফরহাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দোকান মালিকের পুত্র এ কে রাজু ও আব্দুস সালামের। একপর্যায়ে রাজু ও সালাম মোটরসাইকেলে তুলে তাকে (ফরহাদ) নিয়ে যায় হরিকলস গ্রামস্থ তাদের বাড়িতে। এরপর তাকে মারধর করেন এ কে রাজু, আব্দুস সালাম ও তাদের সহযোগী রুবেল, আনছার সহ আরো দুই যুবক।এব্যাপারে অভিযুক্ত এ কে রাজু বলেন, ফরহাদ আমাদের দোকান থেকে মাল চুরি করে। এসময় তাকে জনতা মারধর করেন। আমরা জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাই। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা।