ভারতের
পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট সার্ভারে প্রিন্টার ত্রুটির কারনে তৃতীয় দিনে
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে দু’ দেশের
মধ্যে আমদানি বাণিজ্য।
গত
২ দিনে আমদানি বানিজ্য বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে বেনাপোল বন্দর। তবে
বন্দরে লোড আনলোড সহ পণ্য ডেলিভারি প্রক্রিয়া সচল রয়েছে। তবে এ পথে
পাসপোর্ট যাত্রীর যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল
স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, আগে পেট্রাপোল
বন্দরে হাতে কলমে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হতো। বর্তমানে সেখনকার
বন্দরে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় আমদানি-রফতানি বানিজ্য চলছে অনলাইনে
সম্পন্ন হয়। শনিবার (২ নভেম্বর) ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অনলাইনে ইন্টারনেট
সার্ভারের প্রিন্টারে ত্রুটি দেখা দেয়ায় গত তিন ধরে এ বন্দর দিয়ে
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতের কাষ্টমসের আন্তরিকতায়
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কিছু পর্ণ্য ভারতে রফতানি হচ্ছে।
বেনাপোল
কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার দ্বীপা রানী হালদার বলেন, দু’দেশের মধ্যে
আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও আমাদের কমিশনার মহোদয়ের আন্তরিকতায় ম্যানুয়াল
পদ্ধতিতে রফতানি সচল করা হয়েছে এবং কিছু পঁচনশীল পর্ণ্য আমদানি হচ্ছে একই
পদ্ধতিতে। আমরা সার্বক্ষনিক ভারতীয় কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ
রাখছি। তবে তারা জানিয়েছেন, অনলাইন সিষ্টেম সচল কারার জন্য কাজ চলছে। দু
একদিনের মধ্যে অনলাইন সিষ্টেম সচল হবে বলে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান।
আমদানী
বন্ধ থাকার কারনে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার
পর্ণ্যবাহী ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শতভাগ রফতানী মুখি গার্মেন্টস
শিল্পের কাঁচামাল রয়েছে। আমদানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে লোড আনলোড
প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে। বিকেল পর্যন্ত ৬৫ ট্রাক মালামাল আমদানি
হয়েছে। আর রফতানি হয়েছে ৫০ ট্রাক মালামাল।#