নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার খোঁজখবর নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনগত বাধা থাকলেও তিনি (খোকা) যেন নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারেন এ জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (৩ নভেম্বর) নিউইয়র্কের হাসপাতালে খোকাকে দেখতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও খোঁজখবর নিয়েছেন। আইনিভাবে যদিও উনার দেশের যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আছে কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন যেকোনো ভাবেই তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। আমি এখন যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে না উনি আর দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থা পরিবর্তনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। তারা খোকার সব চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
খোকার জীবনের শেষ ইচ্ছানুযায়ী অন্তিম সময়ে তাকে দেশে নেয়াও পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। পাসপোর্ট না থাকায় দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। পরবর্তী সময়ে কী হবে, এ নিয়ে স্বজনরা বিভ্রান্তিতে আছেন।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে সপরিবারে নিউইয়র্ক চলে যান সাদেক হোসেন খোকা। তার পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে থাকছিলেন বিএনপির এ নেতা।
ভিজিট ভিসার নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাস পর পর যাওয়া-আসা করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বৈধ রাখার নিয়ম। ২০১৭ সালে খোকা ও তার স্ত্রী ইসমত হোসেনের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারা নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার ব্যাপারে কনস্যুলেট থেকে কোনো সদুত্তর দেয়া হয়নি।