ইয়ানূর রহমান / শেখ কাজিম উদ্দিন : সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
রবিবার সকাল ১০ টায় শার্শা উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামানের পরিচালনায় শার্শায় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সন্তান এই জাতীয় চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, ন্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহি অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সালেহ আহমেদ মিন্টু যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, সোয়ারাব হোসেন, মিজানুর রহমান, মাষ্টার হাদিউজ্জমান হাদি, হোসেন আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদারসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।