গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক শিক্ষক প্রতারণামূলভাবে জাল ও ভূয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান এবং সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর উপজেলার ঘগোয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ একেএম মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ওই বিদ্যালয়ের জাল ও ভূয়া সনদ দিয়ে চাকরি নেয়া সহকারি শিক্ষক আতিকা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। ২০ অক্টোবর আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গেলে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে বিজ্ঞ বিচারক তাঁেক জেল হাজতে পাঠায়। জানা গেছে, উপজেলার ঘগোয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক আতিকা বেগম গত ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর তারিখে সহকারি শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে যোগদান করেন এবং ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে এমপিও ভুক্ত হন। স্থানীয় কিছু সংখ্যক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওই শিক্ষকের ভূয়া নিবন্ধন সনদের বিষয়ে অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই বাছাই সাপেক্ষে তাঁর নিবন্ধন সনদ জাল ও ভূয়া প্রমাণিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিদের্শ দেন। এনটিআরসিএ এর সহকারি পরিচালক মোক্তাক আহম্মেদের নির্দেশে এবং ম্যানেজিং কমিটির সম্মতিক্রমে অধ্যক্ষ একেএম মিজানুর রহমান গত ১৪ অক্টোবর বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে। মামলায় হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। অধ্যক্ষ একেএম মিজানুর রহমান জানান, এনটিআরসিএ এর যাচাই-বাচাই সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ ভূয়া ও জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছেন।