আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ফেসবুক আইডি থেকে পারিবারিক গোপন ছবিসহ ষ্ট্যাটাস দেয়ায় নাটোরে তোলপাড় হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া ওই পোষ্টের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম কামরান। রোববার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিবাদ করে বলেন, গত ২২ অক্টোবর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার সহধর্মীনির সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পোষ্ট করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ওই পোষ্টটি ভাইরাল হয়ে বিভিন্নজনের কাছে চলে গেলে সিংড়া সহ নাটোরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। যুবলীগ নেতা কামরান জানান, তার শুভাকাঙ্খীদের কাছে শুনে তিনি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে দেখতে পান দ্বিতীয় স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টির সাথে তার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের কয়েকটি ছবিসহ কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তার (কামরান) নৈতিক স্খলন করে তাকে একজন চাঁদাবাজ, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম কামরান জোর দিয়ে বলেন, জীবনে কোনদিন মদ স্পর্সই করেননি, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি হাস্যকর এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এসময়ে জানানো হয়, তোলপাড় হওয়া পোষ্টে ক্ষুব্ধ হয়ে তার আপন ছোট ভাই সহ দু’জন স্ট্যাটাস দিলে তাদের ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হলেও মূল স্ট্যাটাসকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে ওই পোষ্টে দেয়া ছবিতে তার বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী মিষ্টিকে অন্যের বিবাহিত স্ত্রী পরিচয় দিয়ে চরিত্রহননের চেষ্টা করে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কামরান আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলকের স্ত্রী অন্য একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন তার আইডি হ্যাক করে কিছু আজে-বাজে পোষ্ট হওয়ায় তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তা আবার ফিরে পেয়েছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কামরান জানান, খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে ওই কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয়ার বিষয়ে আইসিটি আইনে মামলা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম কামরানের প্রথম স্ত্রী শিউলী খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি সহ দুই পক্ষের আত্মীয়-স্বজন।