মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের ভুজবল গ্রামে মুর্তি চুরির ঘঠনায় প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাব ও গ্রাম্য মোড়লদের দৌত ভূমিকার কারনে চুরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় চুরির ঘঠনা পুনরাত্তি ঘঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্দিরে মন্দিরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে চুরি। দীর্ঘ হচ্ছে মুর্তি চুরির তালিকা। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে- গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধার দিকে অফিসবাজার এলাকার ভুজবল গ্রামে রাধা কুষ্ণ ঠাকুর ঘরের ৪টি শিলা মুর্তি চুরি করে নিয়ে যায় চুরেরা। এ ঘঠনায় গত ১৯ অক্টোবর ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে কৃপেশ নাথ এর বাড়ীতে এক মীমাৎসা বৈঠকে স্থানীয় সাধারণ লোকজনসহ স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চুর সনাক্তকরণ শেষে চোরাইকৃত ৪টি মুর্তির মধ্যে ৩টি মুর্তি ফেরৎ প্রদান করা হয়। এবং অপর একটি মুর্তি ফেরৎ প্রদানের জন্য একই এলাকার নুর মিয়ার পুত্র লেচু মিয়া লিখিত অঙ্গিকার নাম প্রদান করেন। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে মূল্যবান ১টি মুর্তি বড় অংকের টাকার বিনিময়ে মীমাংসা বৈঠকে বসার পূর্বেই বিμি করা হয়েছে। এবং চোরের দল স্থানীয় লেচু মিয়ার মাধ্যমে অপর ৩টি মুর্তি ফেরৎ দিয়েছে। রাধা কুষ্ণ ঠাকুর ঘরের সেবক মিহির গোস্বামী, স্ত্রী রতনা গোস্বামী ও প্রতিবেশী পলাশ দেব নাথ জানান- একাধিকবার আমাদের ঠাকুর ঘরের মুর্তি চুরি হয়েছে। চুরির ঘঠনায় দৃষ্টান্ত মূলক কোন শাস্তি না হওয়ায় এ ঘঠনার পূনরাবৃত্তি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজস জানান- ভুজবল ( ডুকলাপাড়া) এলাকার নুর মিয়ার পুত্র লেচু মিয়াসকল চুরদের চিনেন ও জানেন। তাই তার কাছে চুরাইকৃত ৩টি মুর্তি ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এবং অপর মূল্যবান ১টি মুর্তি বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার কারণে ফেরৎ আসছেনা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন বলেন- আমি এ সংক্রান্ত কোন সংবাদ না পাওয়ায় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারিনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত অপর মুর্তিটি ফেরৎ দেয়া হয়নি।