চলতি বছরে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টকে (এমআরপি) সরিয়ে ই-পাসপোর্ট হওয়ার কথা থাকলেও তা চালু হবে ২০২০ সালে ১ জানুয়ারি থেকে। সারাদেশে ২০ হাজারের বেশি চাহিদার বিপরীতে দুই বছর পর্যন্ত প্রতিদিন মাত্র ২ হাজার ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবে অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে ঢাকার উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, যাত্রাবাড়ী ও বাংলাদেশ সচিবালয় অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট তৈরি করা হবে। অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও থেকে আপাতত ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে না। কারণ, জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচ দেশের সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট তৈরির মেশিন বসাতে পারেনি।
জার্মান প্রতিষ্ঠান অধিদফতরকে জানিয়েছে, দেশের সব জায়গায় মেশিন বসাতে তাদের অন্তত দুই বছর সময় লাগবে। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা।
ই-পাসপোর্টে থাকছে যেসব সুবিধা-
বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। কারণ ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে।
ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য। ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন।
তা ছাড়া সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ঝামেলাহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যাবে।