কোন রাজনৈতিক দলেরই প্র্রবীন নেতার ওপর বর্বরোচিত হামলা নাটোরবাসী দেখতে চায়না

নাসিম উদ্দীন নাসিম–রাজনীতি যার যার নাটোর সবার ।রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকবেই । আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টি নানা দল এবং মতের মানুুষ আমরা সবাই এই ছোট শহরের বাসিন্দা ।। আঘাত কাকে করছেন । সে তো আপনার ভাই,বন্ধু,স্বজন বা প্রতিবেশি ।।। আজ আপনি আমি মারা গেলে কাল হয়তো সেই আগে কফিন বা খাঁটিয়া আগে কাঁধে নিবে ।। দল ক্ষমতায় আজ আছে কাল নেই ।।আমরা সবাই তো প্রিয় নাটোরেই থাকবো । বিগতদিনে কি হয়েছে তা জানতে চাইনা ।তবে আমরা রাজনৈতিক সব দলের নেতাকর্মীদের সহবস্থানের রাজনীতি নিশ্চিত করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি ।অতীতে অনেক রাজনীতিবিদদের উপরে হামলা হয়েছে।রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা, পুরো রাজনীতিকেই কলঙ্কিত করেছে।বিগত দিনে দুটি প্রধান দলের ক্যাডারদের হামলাও আমরা দেখেছি। হামলাকারীদের করুণ পরিণতিও আমরা দেখেছি। তাদের দেশ ছাড়তে হয়েছে। তাদের মদদদাতাদের পরিণতিও নাটোরবাসী দেখেছে।আজ ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবাার বেলা ১২ টায় শহরের ষ্টেডিয়াম এলাকার মৎস ভবনের সামনে নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন।শহিদুল ইসলাম বাচ্চু দাবি করেন আওয়ামী লীগের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সকল মহল থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সদর আসনের সাংসদ শফিকুল ইসললাম শিমুুল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।যে বা যারাই শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর ওপর হামলা করুক না কেন, সেটা অন্যায়।এ ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুুলের বক্তব্য প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে দায়ীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এটি রাজনীতির একটি ইতিবাচক দিক।বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বিএনপি নেতা বাচ্চুর উপর সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সারাদেশে যখন ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলছে ঠিক তখন নাটোর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত এবং হকুমদাতা কুশিলবদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নাটোরের পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু একজন উচ্চশিক্ষিত ও মিশুুক মানুষই শুধু নন, একজন প্রবীন রাজনীতিবিদও বটে। মনে রাখতে হবে রাজনীতি যদি রাজনীতিবিদদের হাতে রাখতে হয়, তাহলে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। রাজনীতিতে নানা মত ও পথ তো থাকবেই। রাজনীতিবিদদের মানমর্যাদা তাদেরকেই রক্ষা করতে হবে, আজ যে রাজপথে, কাল সে ক্ষমতায় আসবেই। আর আসলেই প্রতিপক্ষ দলকে শায়েস্তা করতে হবে এই চিন্তা চেতনা সবদললেরই পরিহার করতে হবে ।ক্ষমতা কারো জন্যই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। ক্ষমতার দম্ভ কিংবা উন্নাসিকতা কোনো দলকেই সমৃদ্ধ করে না।শহিদুল ইসলাম বাচ্চু যেভাবে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন, এর নিন্দা অবশ্যই আমাদের করতে হবে। এ হামলার ঘটনায় মানুষের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার প্রকাশ ঘটেছে। অপরাজনীতিকে মানুষ ঘৃণা করতে শিখেছে। এটি শাসক দলের জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না।রাজনীতিকে যারা কলংকিত করতে চায়, রাজনীতিবিদের ওপর হামলা নির্যাতন করে যারা অপ-রাজনীতি চালু করতে চায় তাদের কঠোর শাস্তিপ্রদানের দাবি জানানো প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং শুভবোধসম্পন্ন মানুষের উচিত। দুর্বৃত্তদের যথোচিত শাস্তি না দিলে প্রশাসনের নিরপেক্ষতাও ক্ষুণ্ন হবে, আমরা চাই কোনো দলীয় বা গোষ্ঠীর চাপের কাছে প্রশাসন নতি স্বীকার করবে না।
নাটোরের জনগণের প্রত্যাশা এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। রাজনীতিবিদদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ধারা এখনি বন্ধ না করলে রাজনীতিকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করা যাবে না। জনগণ চায় রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকবে।