বগুড়া সংবাদদাতাঃ বগুড়ার গাবতলী নশিপুরের মাজবাড়ী খাঁরদিঘীতে পানি নিস্কাশনের গতি মুখ বন্ধ করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে প্রতিপক্ষ উজ্জল। প্রতিকার চেয়ে গ্রামের কৃষকরা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, মাজবাড়ী গ্রামের কৃষকরা দূীর্ঘদিন যাবত খাঁরদিঘীতে ধান চাষাবাদ করে আসছিল। কৃষকের ফসল উৎপাদন বাড়াতে পানি নিস্কাশনের জন্য ইতিমধ্যে সেখানে বি.এ.ডি.সি এর বৃহত্তর বগুড়া ও দিনাজপুর জেলা ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘ভূর্গবস্থ পাইপের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ একটি সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু বাগবাড়ী গ্রামের মৃত জহুরুল হোসেনের পুত্র উজ্জল হোসেন মাজবাড়ী খাঁরদিঘীতে অবৈধভাবে মাছ চাষ করতে প্রায় ৩শ বিঘাজমির পানি নিস্কাশনের (পাইপের) গতিমুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে কৃষকের ৩০বিঘাজমিতে রোপা আমন ধান চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। দুরচিন্তায় দিন কাঁটছে তাদের। এরপর কৃষকরা উজ্জল’কে বিষয়টি বলতে গেলে তিনি নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। ফলে আজও কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করতে পারেনি। ফলে কৃষকরা অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এরপর ওই গ্রামের কৃষক ছাইদুল ইসলাম’সহ ১৯জন স্বাক্ষরিত পৃর্থক ২টি অভিযোগ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পুলিশ সুপার বরাবরে দায়ের করা হয়। অভিযোগটি তদন্ত করতে (ই-নথির স্মারক-৪৭) গাবতলী ইউএনও কে প্রেরন করা হয়েছে।
গাবতলী ইউএনও মোছাঃ রওনক জাহান জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মুসা মিয়া জানান, অভিযোগের ভিক্তিতে কাগজপত্র যাচাই করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, প্রতিপক্ষ উজ্জল পানি নিস্কাশনের গতিমুখে যদি বাঁধা সৃষ্টি না করতো তবে জমির পানি দ্রুত নেমে শুকিয়ে যেত। ফলে কৃষকরা সময়মত তাদের ফসল চাষ করতে পারতো। ফসল উৎপাদন বাড়তো এবং আয়ও হতো।