সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ার কামিল মাদরাসার সুপার আনোয়ার হোসাইনকে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সাময়িক বরখাস্ত করেছে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি। তার বিরুদ্ধে জামায়াত ও জঙ্গি কার্যক্রমে পুষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে বিপুল পরিমান জঙ্গিবাদ বই ল্যাপটপসহ আটক করে পুলিশ। গত রবিবার রাত ১০টার দিকে পাবনার মনসুরাবাদ এলাকার ৫ নং সড়কের ১১৯ নম্বর বাড়ি থেকে তাকে ১৩ নারী জামায়াত কর্মীসহ গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে এ বরখাস্ত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আরো জানান, মাদরাসার সুপার পদটির লোভেই আনোয়ার হোসাইন আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানে প্রশংসা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতেন। তিনি ওই সব অনুষ্ঠানে নিজেকে উপজেলা ওলামালীগের নেতা বলে পরিচয় দিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতেও দেখা গেছে। তিনি ক্ষোভ করে বলেন আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি সুপারকে জামিনে ছাড়াতে ইতো মধ্যে জামায়াত ও শিবির নেতারা তৎপড়তা শুরু করেছে।
নাম প্রকাশে না করার শর্তে অনেকেই জানান, ধুলাউড়ি মাদরাসার সুপার আনোয়ার হোসাইন সাঁথিয়ায় ওলামা লীগের পরিচয় দিয়ে নেতা কর্মীদের সাথে মিশে স্বার্থ হাসিল করত। অথচ পাবনাসহ বিভিন্ন স্থানে তিনি জামায়াত ও জঙ্গি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তারা আরও জানান, আনোয়ার হোসাইন ছাড়াও অনেক জামায়াত নেতা কর্মী ও মাদরাসার শিক্ষক সুপাররা সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে মিশে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে।
এব্যাপারে উপজেলা ওলামালীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আনোয়ার হোসাইন নামে কেউই ওলামালীগের আহ্বায়ক কমিটিতে নেই। তিনি হয়তো স্বার্থ হাচিলের জন্য ওলামালীগের পরিচয় দিতেন। এব্যাপরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমরাতো জানতাম না সে ওলামালীগের পরিচয় দেন।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, মাদরাসা সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারের পর পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ জানান, দোতলা বাড়িটির নিচতলা জামায়াতের নারী সংগঠনের আস্তানা ছিল। এখান থেকেই তিনি নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন।
তাদের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।