গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে বায়ু দূষণের মধ্যে বাস করছে। বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ আর ভারত ও চীনে মারা গেছে ১২ লাখ মানুষ। চার এপ্রিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত ‘স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার’ এর একটি প্রতিবেদন এই তথ্য জানা গেছে।
আর এই বায়ু দূষণ রোধ করতেই নিজের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে ইটভাটা ও কল কারখানার দূষিত কালো ধোঁয়া পরিস্কারের জন্য যন্ত্র আবিস্কার করলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া গ্রামের কৃষক খবির উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ (২৭)। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ছয় বছর ধরে গবেষণার করে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ যন্ত্র আবিস্কার করতে সফল হয়েছেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার জন্য কাঁচ দিয়ে তৈরি করা দূষিত কালো ধোঁয়া পরিস্কারক যন্ত্রটি আবিস্কার করতে তার ব্যয় হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার টাকা। তার এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে ইটভাটা ও কল কারখানার কালো ধোঁয়া অতীতের মতো আর উপরের দিকে যাবে না। ইটভাটার পার্শ্বে মাটির নিচে হাউজ করলে পাইপ দ্বারা সেখানে পানি ও কালো ধোঁয়ার সংমিশ্রন ঘটবে। দূষিত কালো ধোঁয়া মিশ্রিত পানি শোধন হয়ে পাইপের মাধ্যমে ইটভাটার ওপরে স্থাপনকৃত পাতিলে পৌঁছে যাবে। এতে একদিকে যেমন ইটভাটার ইট পুড়বে, অন্যদিকে আগুনের স্পর্শে পাতিলের পানি বাস্প হবে।
রুবেলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি পরিবেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। সেই ভাবনা থেকেই বায়ু দূষণ রোধের যন্ত্র আবিস্কার করতে সক্ষম হন। সরকারিভাবে বিষয়টি আমলে নিলে বায়ু দূষণ রোধের যন্ত্রটিকে বাণিজ্যিক রুপ দেয়া সম্ভব বলে দাবি তাদের।
যন্ত্রটির ব্যাপারে রুবেল আহমেদ বলেন, আমার এই উদ্ভাবিত যন্ত্রটি বায়ু দূষণ রোধ করে মানুষের মরণ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। কারণ এ কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় পানি বাস্প হয়ে আকাশে উড়ে গিয়ে মেঘ জমাবে এবং বৃষ্টির আগমন ঘটাবে। প্রকৃতি ফিরে পাবে হারানো যৌবন। আর দূষিত বায়ুর কারণে ফসলাদির যে ক্ষয়ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও যন্ত্রটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি