স্টাফ রিপোর্ট
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার ধানের বাজার সস্তা কৃষকরা
দরিদ্র হওয়ার পথে, কৃষি কাজে অনিহা প্রকাশের গুঞ্জন, এলাকায় শুনা যাচ্ছে
দরিদ্র কৃষকদের আহাজারি, বিত্তশালি ধনীরা জমি নিয়ে বিপাকে বর্গা চাষী
মিলছেনা,জমির দাম কমতে শুরু করেছে,জমির মালিকেরা বিক্রির জন্য কাস্টমার
পাচ্ছে না,এলাকার ৯০ ভাগ কৃষক হতাশায় ভুগছে,যেখানে ১০ বছর আগে এক শতকের
মূল্য ছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, বর্তমানে ২ হাজারেও কেউ কিনতে চায়না। ক’বছর
ধরে ধানের মূল্যের সাথে জমি চাষের খরছের হিসেব মিলিয়ে লছের বোঝা
ক্রমান্নয়ে ভারি হচ্ছে ,এক ফসলি জমিতে ধান উৎপাদনের খরছ পূষিয়ে নিতে না
পারায় লোকশানের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা এ এলাকার কৃষক। মহাজনের সুদের
টাকার পাল্লা বছর বছরে অনায়াসেই ভারি হচ্ছে,আর এসব এলাকার কৃষকগোষ্ঠী দিন
দিন দরিদ্র হওয়ার আসংখা দেখা দিয়েছে। আওয়ামীলীগের সরকার দেশকে উন্নয়নের
জোয়ারে ভাসালেও কৃষক দরিদ্রের সাগরে হাবুডোবু খাচ্ছে। একমন ধান ফলাতে খরছ
হয় ৮০০ টাকা,আর একমন ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০০ টাকায় ,প্রতি বছর লছ আর লছ।
অথচ সরকার ১০৪০ টাকায় কৃষকের ধান খরিদ করার কথা থাকলেও বাস্তবায়নের সুফল
দেখা যাচ্ছে না। প্রকৃত কৃষকদের ধান গুধাম জাত করার কথা থাকলেও ধান ক্রয়ের
বিষয়টি ঘটেছে অন্যরকম,যেমন কৃষকের বাহিরে একটি অসাধু ব্যাবসায়ী চক্রের ধান
নিয়েছে সরকারের কতৃপক্ষ ,অ’কৃষক একটি ব্যাবসায়ী সেন্টিকেট দল সুবিধা নিয়ে
পায়দা লুটছে। দায়ীত্ব প্রাপ্ত গন তদারকির অনৈতিক কাজের কারণে, কার্ড বিতরন
কারীরা ঘরে বসে তালিকা তৈরি করে,তার পর কৌশলগত ভাবে সরাসরি কৃষকের হাতে
কার্ড না দিয়ে সেন্টিকেটের হাতে কার্ড তুলে দিয়ে অনৈতিক দুর্নীতি কায়েম
করেছে , দুর্নীতির গুমরা জালে লুটেরা ব্যাবসায়ী সেন্টিকেটদের স্বজনদের নাম
তালিকা ভূক্ত করে গুধামে ধান বিক্রির সুযোগ করে নিয়েছে। এসব অনৈতিক
কর্মকান্ডের দুর্নীতির কবলে পরেছে খেটে-খাওয়া কৃষকেরা,সরকার দুর্নীতি
দমন-পীড়ন অভিযান চালিয়েছেন ঠিকেই, কিন্তু দুর্নীতির আসল হুথারা এখনো ধরা
চোয়ার বাহিরে। মধ্যনগর খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ের দুর্নীতির খবর বিভিন্ন
পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও এর কোনো আইনি উদ্যোগ নেয়নি সরকারের কতৃপক্ষ। এসব
অনিয়ম অনৈতিক কর্মকান্ডের সুরাহা কবে হবে জানতে চায় এলাকাবাসী