ক্লিনিক ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করলেন এলাকাবাসী

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার এলাকাবাসী একজোট হয়ে উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামে নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে বাধা দিলে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় ঠিকাদার। পরে ঠিকাদার নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা দাবি করে কাজ শুরু করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী জানান, ভবনে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট ভেঙে সরিয়ে নিয়ে ভালো মানের ইট ব্যবহার না করলে পুনরায় কাজ করতে হবে না।

একাধিক সুত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস। পাবনার ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ কাজটি পান। প্রায় তিন মাস আগে তিনি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন। কাজটি দেখভাল করেন জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তা শামছুল আরেফিন। কাজের শুরুতে তিনি কাজের গুণগত মান বুঝে নেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ভবন নির্মাণ কাজের তদারকি করতে তিনি সহ অফিসের কেউই আসে না। এই সুযোগে ঠিকাদারের লোকজন অত্যন্ত নিম্নমানের ইট দিয়ে ভবনের দেয়াল গাঁথুনি শুরু করে। সপ্তাহ খানেক আগে এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানমকে জানায়। ডাক্তার হালিমা সরেজমিনে ভবন নির্মাণ পরিদর্শন করে অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। কিন্তু এতেও কাজ বন্ধ না হলে এলাকাবাসী শুক্রবার একজোট হয়ে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় ভবনে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট ভেঙ্গে সরিয়ে নিয়ে ভালো মানের ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এলাকাবাসী।

পাটুলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজনুর রহমান বলেন, ঠিকাদারের লোকজনকে বারবার নিম্নমানের ইট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু না শোনায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার অনিচ্ছায় তিন-চার হাজার নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সাইডে কাজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার ভুলটি করেছে। তবে ওই ইট ব্যবহৃত অংশ ভেঙে ফেলে এবং পরবর্তীতে ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করা হবে।

এব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরই সরেজমিনে তদন্ত করে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসকে জানানো হয়। আশা করি আর নিম্নমানের ইট ব্যবহার করবেনা ঠিকাদার।