কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নিহত বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ। এতে মূহূর্তেই হাজার হাজার লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার হয়। কিন্তু এর কয়েকঘণ্টা পর তার অ্যাকাউন্ট-ই গায়েব হয়ে গেছে।
বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে আবরার ফায়াজের ফেসবুক আইডিতে ঢোকা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নিহত আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ জানান, তিনি নিজেই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছেন। কিন্তু তিনি কেনো এটা করেছেন প্রশ্ন করা হলে জবাব দেননি। কোনো চাপের কারণ আইডি বন্ধ করে রেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখন কিছু বলতে চান না।
এর আগে বুধবার রাতে আবরার ফায়াজ এক ফেসবুক স্ট্যাটস লিখেন, ‘আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটে জানাজা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে আপনার আর এক ছেলে ঢাকা থাকে আপনি কি চান তার ক্ষতি হোক….. গ্রাম-এ বলা হয়েছে কেউ কিছু করলে ১ সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে। বিচার চাই…আমি বিচার চাই….. নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে।’
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।