নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হু হু করে বাড়ছে রাজশাহীর পদ্মানদীর পানি। মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় পদ্মায় পানির উচ্চতা ছিলো ১৮ দশমিক ৪ মিটার। অর্থ্যাৎ বিপদসীমার মাত্র ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপাত্ত সংগ্রহকারী এনামুল হক এসব তথ্যতে জানিয়েছেন সোমবার ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মানুষের মাঝে। শুষ্ক মৌসুমে রাজশাহীর পদ্মায় পানি না থাকলেও রাজশাহীর এসব অঞ্চল এখন ডুবতে বসেছে ফারাক্কা থেকে ধেয়ে আসা পানিতে। হুমকির মুখে পড়তে বসেছে শহর রক্ষা বাঁধও। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গার মতো রাজশাহীতেও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত দশদিনে ১১৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। এটিই চলতি মৌসুমে রাজশাহীর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো রাজশাহীতে টানা বর্ষণ চলছে। তবে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমতে পারে। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পদ্মায় পানি বাড়লেও শহরে এখনো তা ঢুকবে না। শহরের সাথে সংযুক্ত সুইচগেটগুলো শিগগিরই বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে গোদাগাড়ী, পবা, বাঘা ও চারঘাটের চরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির আশংকা আছে। এদিকে, চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পনিবন্দি হয়েছে পড়েছে। ইতোমধ্যেই তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে চরাঞ্চর ছাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসন।