দুর্গাপুরের মেইন রাস্তার সাংস্কার কাজ ১১ বছরেও শুরু হয়নি

নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহী জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র ব্যবস্থা বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভা হতে দুর্গাপুর উপজেলার প্রায় ৭ কিলোমিটার মেইন রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। অনেক সময় প্রানহাণির মত ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু বছররের পর বছর পার হলেও সাংস্কারের অভাবে উপজেলার এ রাস্তা অকেজো হয়ে পড়েছে। এজন্যেই উপজেলার কৃষক ও চাষিদের কাছে মূল রাস্তা থেকে শুরু করে গ্রামীণ রাস্তাগুলো হয়ে পড়েছে গলার কাটা। ফলে দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হলেও স্থানীয় এমপি,চেয়ারম্যান ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথাব্যাথা। বাধ্য হয়েই ভাঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়েই মালামাল বহন করতে হচ্ছে তাদের। গত ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দিকে দুর্গাপুরের বাদইল হতে ঝিনার মোড় পর্যন্ত মাত্র আদা কি: রাস্তার রিপিয়ারিং এর কাজ করলেও মাস যেতে না যেতেই আবার সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্তের। এতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তাহেরপুর-দুর্গাপুরের গোপালপাড়া হতে উজালখলসী হয়ে দেবীপুর বাজারের তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলো মিটার রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অনেক স্থানে রাস্তা দেবে গিয়ে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যু ফাঁদ। আর ভাঙ্গা চুরা এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে যানবাহন। এবং ঘটছে প্রানহানির মত ঘটনা। তার পরেও যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই রাস্তাটির সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের। এদিকে হাজার হাজার এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরপুর। আর এ খানাখন্দ অতিক্রম করতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগি যাত্রী ও সাধারন জনগনের। আর এতে ঘটছে প্রানহাণির মত বড় ঘটনা। তার পরেও প্রশাসন সব সময় থাকে উদাসিন নিরবতা। এ রাস্তায় চলাচল কারী অটো চালক ইদ্রিস আলী,গোলাম,আসাদুল ও মজিবর রহমান জানান, আমরা প্রতিনিয়ই তাহেরপুর থেকে দুর্গাপুর মানুষ নিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু এপর্যন্ত এমন রাস্তা কোথাও দেখিনি। এর আগে লোক দেখানো ইটের সুড়কি ও পিচ দিয়ে মাত্র আদা কি: রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো পিচ উঠে গিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যায় রাস্তাটি। আর এ জন্য রাস্তাটির তদারকি না থাকাকে দায়ী করলেন ওই চালক। সব মিলিয়ে তাহেরপুর-দুর্গাপুর মেইন সড়কের প্রায় ৭ কিলো মিটার রাস্তা এখন মানুষের মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। যেনো এই উপজেলার দেখার কেউ নাই