গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার নাটক করেছিলেন দেলোয়ার হোসেন নামের এক যুবক। উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিয়াঘাট সরদার পাড়া এলাকার মৃত রউফ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন শনিবার রাতে নিখোঁজ হয়।
তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় একই এলাকার মৃত ছইর প্রাং এর ছেলে লিফা প্রাং ও নজরুল প্রাং এবং লিফা প্রাং এর তিন ছেলে সানোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও বুলু হোসেনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নিখোঁজ হওয়া দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম।
এ ঘটনায় লিফা প্রাং ও তার ভাই নজরুল প্রাংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। গুরুদাসপুর থানা পুলিশের টানা শাস্বরুদ্ধকর ১২ ঘন্টার অভিযানে দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করা হয় উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চোদ্দমাথা নামক এলাকা থেকে।
প্রতিপক্ষ লিফা প্রাং বলেন, আমাদের ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করেছে দেলোয়ার হোসেন। ২১ সেপ্টম্বর শনিবার সকালে দেলোয়ারের দোকানে চা খেতে যাই। সেখানে আমার বিল হয় ১০ টাকা। ৫ টাকা বকেয়া রাখার কথা বলতেই দেলোয়ার আমার সাথে অসাদাচরণ করে এবং গালাগালি করতে থাকলে আমার ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমি চলে আসি। তখন থেকেই আমি আর ওই দোকানের আশপাশেও যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই শনিবার দিবাগত রাতে নিখোঁজ হওয়ার নাটক করে দেলোয়ার হোসেন। নিখোঁজ হওয়ার পেছনে আমাদের দায়ি করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। ক্ষণীকের কথাকাটাকাটির সুযোগে নিজেই নিখোঁজের নাটক করে আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দেলোয়ারসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য নিখোঁজ হওয়ার নাটক করার বিষয় শিকার করেছেন দেলোয়ার হোসেন। দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানুষকে হয়রানী করা ও নিখোঁজ হওয়ার নাটক করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।