মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: সম্ভাবনার তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিলে বিশ্বনাথে বেকারত্ব কমে আসার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ বাড়বে। এবিষয়ে বিশেষ করে সচেতন মহল এগিয়ে আসার দরকার বলে মনে করেন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রবাসী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা।সম্ভাবনায় বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৩৬টি গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ, পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা এবং আমন ধান কর্তনের পর সবজি¦ চাষ। তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে উপজেলার অনেক বেকার যুবক, যুবতির বেকারত্ব দূর এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্ঠি হবে। এমন সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করছেন প্রবাসী অধ্যূষিত বিশ্বনাথ উপজেলাবাসি।বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল সাংবাদিকদের বলেন, পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে কৃষি অফিসারকে বলা হয়েছে। আর পুকুরে মাছ চাষ ও আমন ধান কর্তনের পর সবজি¦ চাষের জন্য মৎস্য অফিসার ও কৃষি অফিসারকে বলে দিবে। তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে আমার প্রচেষ্ঠা আছে, প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রতেক্য পুকুরে কিভাবে মালিকদের দিয়ে মাছ চাষ করানো যায় সেই প্রক্রিয়া আমাদের আছে। আমরা জরিফের মাধ্যমে এবং এলাকার লোকজনের মধ্যে আলোচনা করে পুকুরে মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসব।কৃষি কর্মকর্তা মো. রমজান আলী বলেন, অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে আমাদের যতটুকু করার আমরা করে যাচ্ছি।জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক বেলাল আহমদ ইমরান বলেন, বাজারের মাছ থেকে নিজের পুকুরে মাছ করে খাওয়া অনেক ভাল। একদিকে ফরমালিন মুক্ত মাছ খাওয়া যায় অন্যদিকে মাছ বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা যায়। তিনি এ ব্যাপারে যুবকদেরকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মঈন উদ্দিন বলেন, বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে অবশ্য বিশ্বনাথের বৈল্পবিক পরিবর্তন হবে। নি: সন্ধেহে এধরনের কাজে যুবকেরা এগিয়ে আসলে আত্মসম্মানও বাড়বে। তিনি বলেন, এবিষয়গুলো অত্যান্ত ভাল। ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা যদি উদ্বুদ্বকরণ সভা করেন অবশ্য যুবকেরা উদ্ধুদ্ধ হবে এবং কাজে এগিয়ে আসবে।