নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর (১৪) নামে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্র মারাত্বক আহত হয়েছে। আহত কিশোরকে এ দিন দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস রহমানকে পুলিশ আটক করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। আহত কিশোর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে।
কিশোরের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ছেলে স্কুলে বন্ধুদের সাথে খেলার ছলে একটি রুমে আটকা পড়লে সে দরজা ধাক্কা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দরজার ধাক্কার শব্দে ফেরদৌস নামে একজন শিক্ষক এসে তার ছেলেকে কানের ওপর থাপ্পড় মারে। এতে কিশোর মাটিতে পড়ে গেলে তাকে অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে উপুর্যপরী বেত্রাঘাত করে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা সেখানে বসা ছিলো। তবে একজন শিক্ষক এর কারণ জানতে চাইলে তাকে প্রহার করা বন্ধ করেন ওই শিক্ষক। আহত ছাত্র কিশোরকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া মডেল থানায় তিনি ওই শিক্ষক ফেরদৌস রহমানকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। কিশোরের মা তার ছেলেকে বেত্রাঘাতে আহতের ঘটনায় বিচার দাবী করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কিশোর অনেকটা উচ্ছৃংখল ধরণের। সে স্কুলে বিশৃংখলা ঘটানোর কারণে তাকে শাসন করা হয়েছে। তবে বেত্রাঘাত নিষেধ থাকায় সেটা করা তার মোটেও ঠিক হয়নি। এজন্য তিনি কিশোরের পরিবারের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। এই কারণে তিনি নিজেও অনুতপ্ত। এ ব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ ন ম আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি । কিন্তু কেউ না মানলে আর কিইবা করার আছে’।
অপরদিকে বাগাতিপাড়া থানার এই আই আবু সেনা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস রহমানকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার আটক শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।