সামান্য বৃষ্টি হলেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের প্রধান-প্রধান সড়কে জমে যাচ্ছে হাঁটু ও গিটা পানি। যার কারণে পথচারীসহ স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাঁকিয়ে দেখার কেউ নেই। পাশাপাশি খানাখন্দে ভরে গেছে সড়কগুলো। সে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো সড়ক দূর্ঘটনা। গত ৬ মাস ধরে পৌর শহরের সড়কগুলোর পাশা দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে মাষ্টার ড্রেন। যার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। সে জন্য দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে পানি বের করে দেয়ার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
বৃষ্টি কারণে প্রধান-প্রধান সড়কগুলোতে পানি জমে থাকার কারণে চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা জামা-কাপড় ভিজে স্কুলে যাচ্ছে। শিশু শিক্ষার্থী সুমন মিয়া জানান, আমি গত কয়েকদিন ধরে বাহিরগোলা মসজিদের সামন দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করার কারণে আমার জুতা এবং প্যার্ন্ট পানিতে ভিজে যাচ্ছে। যখন পর্যন্ত স্কুলে থাকি ততক্ষণ পর্যন্ত ভিজা জুতা পায়ে দিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে করে অসুক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাছাড়া জমে থাকা পানিগুলো নোংরা এবং দূর্গন্ধ। পথচারী বাদশা মিয়া জানান, বৃষ্টি সময় পৌর শহরের সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বাজারের ভিতরে কাঁদা পানির জন্য প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
বিশেষ করে মীরগঞ্জ বাজারের জনতা ব্যাংকের সামন হতে আব্দুল মজিদ মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় গেট এবং ওয়ালটন শো-রুমে সামন হতে পূর্ব বাইপাস মোড় পর্যন্ত সড়কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ করা না শর্তে কেজি স্কুলের একজন অধ্যক্ষ জানান, বৃষ্টির সময় রাস্তায় পানি জমে যাওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। যার কারণে পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সামান্য কষ্ট মেনে নিতে হবে সকলকে। তাছাড়া ড্রেন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, বিষয়টি পৌর মেয়রকে অবগত এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।