স্টাফ রিপোটার :
পাবনায় গৃহবধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর থানায় বিয়ের ঘটনা তদন্তে সত্যতা পেয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, সদর উপজেলার দাপুনিয়ায় এক গৃহবধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মামলা না নিয়ে থানায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের সত্যতা জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। তিন সদস্যের তদন্ত দল বৃহঃস্পতিবার থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিটি বিষয় অনুন্ধান করে ধারাবাহিক দলবদ্ধ ধর্ষণ, মামলার আলামত নষ্ট ও ্ওসির নির্দেশে থানায় বিয়ে সহ প্রতিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ৪ টি পর্যবেক্ষণ ও ২ টি মতামতের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। তবে, কোন সুপারিশ দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জেলা প্রশাসক আরো জানান, রবিবার রাতেই তদন্ত প্রতিবেদনটি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক নারীকে গত ২৯ আগস্ট রাতে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে অপহরণ করে এবং আটকে রেখে টানা চারদিন ধরে গণধর্ষণ করে।পরে গৃহবধু বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করলেও মামলা নথিভুক্ত না করে ধর্ষিতাকে তার সাথে থানা চত্বরে বিয়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা দায়েরের পর সকল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।