ইয়ানূর রহমান : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার ৭মাইলে আবারো রুবা ক্লিনিকে ডাক্তার আহসান হাবীব রানার অবহেলায় মোর্শেদা খাতুন (২০) নামে এক রোগীর অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে উপজেলার মহিষাকুড়া গ্রামের শিমুলের স্ত্রী। রবিবার সন্ধ্যার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর মোর্শেদা খাতুনের পেটে সকাল থেকে প্রচন্ড ভাবে যন্ত্রণা শুরু হয়। গ্রামের ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে রোগীর অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে বাগআঁচড়া সাতমাইল রুবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক আহসান হাবীব রানা বিভিন্ন চিকিৎসা দিয়ে থাকে। কিন্তু মোর্শেদা চিকিৎসা পেয়ে যেনো আরো যন্ত্রণায় কাবু হতে থাকে। গতকাল বিকালে রোগী যখন প্রায় মৃত্যু শয্যাশায়ী তখন রুবা ক্লিনিকের চিকিৎসক দায় এড়ানোর জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলেন।
রোগীর নিকট আত্নীয় প্রভাষক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আহসান হাবীব রানার অবহেলার কারনে রোগীকে বাঁচানো গেলো না। যদি সে ওখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা না দিয়েই অতি দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতো তাহলে হয়তো মোর্শেদার এই অকাল মৃত্যু আমাদের দেখা লাগতো না।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে, রুবা ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ আহসান হাবীব রানা বলেন, এই নামের রোগী একটা আসছিলো, তাকে চিকিৎসা দিয়ে আমি রেফার্ট করে দিয়েছি।
তবে এলাকাবাসী জানান, এর আগেও রুবা ক্লিনিকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ডাক্তারের অবহেলার কারনে অনেক রোগী মারা গেছে। এই তো গত ১৩ জুলাই কবিরুলের স্ত্রী হিরা (২২) নামের এক প্রসূতি মায়ের প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বজনেরা রুবা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘখন চেষ্টার পর চিকিৎসক রানা জানান এখনও সময় হয়নি। নরমাল ডেলিভারী হবে, অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন। এর মধ্যে প্রসব বেদনা কমে যায়। এরপর ১৪জুলাই রাত থেকে রোগী আবার যখন ছটফট শুরু করে তখন ডাঃ রানা রোগীকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুমিয়ে রাখেন। পরদিন আবারো ছটফট করতে করতে হিরা খাতুন নিথর হয়ে যায়। এ সময় ডাঃ রানা তড়িঘড়ি করে উন্নত চিকিৎরার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলেন। সে সময় অনেক অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মী আশ্রায়ে গিয়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়। সেজন্য তার এমন অপচিকিৎসা দিন দিন বেড়েই চলেছ।