উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপুর্ণ বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর হুমকির মুখে পড়েছে । সরকার হারাচ্ছে বছরে প্রায় এক কোটি টাকা রাজস্ব। বিআইডব্লিউটিএ এর বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরটি উত্তরবঙ্গের একটি গুরুত্বপুর্ণ বন্দর। সরকার প্রতি বছর এই বন্দরের ইজারা খাত থেকে বিপুল পরিমান অর্থ রাজস্ব পায়। বাাঘাবাড়ী বন্দরের পাশে রয়েছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তেল ডিপো। সরকারি সার, তেল, ধান,চাল সহ বে-সরকারি বিভিন্ন মালামাল এই বন্দর থেকে লোড- আনলোড করা হয়। বাঘাবাড়ীতেই রয়েছে সরকারি বাফার গুদাম। সরকার এসব থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব পায় এবং এই বন্দরের উপর প্রায় হাজার শ্রমিকের ভাগ্য নির্ভর করে।
হঠাৎ করেই পার্শ্ববর্তী বেড়া উপজেলার কিছু প্রভাবশালী মহল হুরাসাগর নদীর পাশে কিছু মালিকানাধীন জমি ও সরকারি জায়গা লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিআইডব্লিউটিএ এর অনুমোদনহীন বন্দর। সেখানে প্রভাব খাটিয়ে কারগো ও জাহাজ লোড আনলোড করছেন । ফলে সরকার বাঘাবাড়ী বন্দর থেকে রাজস্ব হারাচ্ছেন।
অপরদিকে বেড়া অনুমোদনহীন বন্দর থেকেও কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। অবৈধভাবে বেড়াতে বন্দর গড়ে তোলায় বাঘাবাড়ী বন্দররের শ্রমিকরা বেকার হওয়ার পথে সেই সাথে হারাতে বসেছে এ বন্দরটির ঐতিহ্য। বেড়াতে অবৈধ্যভাবে নদীর ঘাট করার ফলে বাঘাবাড়ী ও নগরবাড়ী বিআইডব্লিউটি এর বন্দরে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্রমশ ঝুকির মুখে পড়ছে।
এদিকে, বেড়াতে মালামাল রাখার জন্য গোডাউন না থাকায় খোলা আকাশের নিচে মালামাল রাখায় এসব মালামাল রয়েছে অরক্ষিত এবং গুনগত মান হারাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাঘাবাড়ী বন্দরের ইজারাদার আলহাজ্ব ছালাম ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, বেড়া পৌর মেয়র আঃ বাতেন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বেড়াতে মাল লোড আনলোড করার ফলে এই ঐতিহ্যবাহী বন্দরটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে। সেই সাথে সরকার বছরে প্রায় এক কোটি টাকা রাজস্ব হারচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই বন্দরের সাথে জড়িত প্রায় এক হাজার শ্রমিক। বেড়াতে অবৈধ্যভাবে মাল লোড আনলোড করার কারণে এই বন্দরের শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানান। তাই তিনি এ বিষয়টি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
এব্যাপারে বেড়ার পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মহিদুল ইসলাম রানা শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাঘাবাড়ী বন্দর পরিদর্শনে আসলে তার কাছেও বিষয়টি জানান ইজারাদার ছালাম ব্যাপারীসহ আরো কয়েকজন ব্যাপারী।
এসময় যুগ্ম সচিব বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খোঁজ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।