আফিফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হতাশার ম্যাচে বাংলাদেশের দারুণ জয়। দলীয় ৬০ রানের মাথায় সাব্বির রহমান আউট হবার সাথে সাথেই মাঠে থাকা দর্শকদের মধ্যে নিরবতা দেখা যায়। কারন এসময় উইকেট হারিয়েছিল ৬টি। মনে হচ্ছিল হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ সময় মাঠে নামে আফিফ হোসেইন। তার ঝড়ো ব্যাটিং এ আবার মাঠে উত্তেজনা দেখা দেয়। মারমুখি ব্যাটিং এ থতমতো খেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পর পর কয়েকটি বাউন্ডারিতে দর্শক ফিরে পায় প্রাণ। দেখতে শুরু করেছিল জয়ের স্বপ্ন। মাত্র ২৪ বলে ৫০ রান পূর্ন করে আফিফ। এর পর ব্যাক্তিগত ৫২ রানে ফিরে যায় আফিফ। আবার নিরবতা।
এর পর সত্যি অধরা জয় ধরা দেয়া বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম খেলায় প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। এক কথায় বলা জায় আফিফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এই জয় লাভ করে।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে শুরুর ১০ ওভারে টাইগার স্পিনার ও পেসারদের দাপটে ১০ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে রায়ান ব্রার্ল ঝড়ে বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস ২৬ রান যোগ করেন। এরপরই এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান লিটন, সৌম্য ও মুশফিক। একটু পরেই সাজঘরে ফেরেন সাকিব। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরও বেশিক্ষণ ভরসা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারায়।
সেখান থেকে আফিফ এবং মোসাদ্দেক যোগ করেন ৮২ রান। আফিফ হোসেন ২৬ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন তিনি। নিজের অভিষেক টি-২০ ম্যাচে ব্যর্থ হন আফিফ। দলে ফিরে সেটা পুষিয়ে দিলেন বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার। তাকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যেতে না দেওয়ার কারণও বুঝিয়ে দিলেন। তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা মোসাদ্দেক খেলেন ২৪ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে শুরুতে লিটন দাস ১৪ বলে ১৯ রান করে দলকে ভরসা দিতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি ফিরতেই ছন্নছাড়া দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। মাত্র ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরে ভরসা দেখছিল রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিন্তু তারা যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ রানে আউট হন। সেখান থেকে বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান আফিফ-মোসাদ্দেক।