পোকামাকড়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী পিপড়া। বিশ্বে পিঁপড়ার প্রায় ১২ হাজার প্রজাতি রয়েছে। এই প্রাণীটি তার শরীরের ওজনের চেয়েও ২০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে! ছোট্ট প্রাণী পিঁপড়া সম্পর্কে দশটি অজানা ও মজার তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১। পিঁপড়ার কান নেই
মানুষের মত পিঁপড়ার কিন্তু কান নেই! তাহলে এরা শোনে কিভাবে? ওদের হাঁটু আর পায়ে আছে বিশেষ সেন্সিং ভাইব্রেশনস। যার মাধ্যমে তারা আশেপাশের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। পিঁপড়ার আবার হাঁটু! ভাবতেই হাসি পায় তাইনা?
২। সর্ব বৃহৎ মস্তিষ্কের অধিকারী
পোকামাকড়দের মাঝে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী হল পিঁপড়া। অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের মস্তিষ্কে প্রায় ২৫০,০০০ টি কোষ বেশি রয়েছে।
৩। পিঁপড়ার পাকস্থলী রয়েছে দুইটি
আমাদের এত বড় শরীরে একটি পাকস্থলী থাকলেও পিঁপড়ার ছোট শরীরে কিন্তু পাকস্থলী রয়েছে দুইটি!
৪। কিছু পিঁপড়া অযৌন প্রজনন ঘটায়
পিঁপড়ার কিছু প্রজাতি রয়েছে যাদের বংশবিস্তার করতে যৌনপ্রজনন প্রয়োজন হয়না। বিশেষ এক ক্লোনিং প্রক্রিয়ায় এরা বংশবিস্তার করে। নিষিক্ত ডিম নারী পিঁপড়ের দেহে বেড়ে উঠে আর অনিষিক্ত ডিম পুরুষ পিঁপড়ের দেহে।
৫। পিঁপড়ারা সবচেয়ে বড় উপনিবেশ তৈরি করতে পারে
ধারণা করা হয় যে পিঁপড়েদের করা সবচেয়ে বড় উপনিবেশ ছিলো প্রায় ৩,৬০০ মাইল এর! এই উপনিবেশ ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের মত বড় দেশগুলোর উপর দিয়েই গিয়েছে। আর এই উপনিবেশ তৈরি করে আর্জেন্টিনার একটি পিঁপড়ার প্রজাতি।
৬। সর্বত্র বিরাজমান
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রয়েছে পিঁপড়া। কেবলমাত্র এন্টার্টিকা ও এ ধরনের কয়েকটি জায়গায় পিঁপড়া নেই। পিঁপড়া প্রায় যেকোনো বাস্তুসংস্থানে বিকাশ লাভ করতে পারে এবং এরা ভূমিগত বায়োমাসের প্রায় ১৫-২৫% গঠন করে। তাদের এই সাফল্যের কারণ হল তাদের সামাজিক সংগঠন, দ্রুত বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষমতা, রসদ জোগাড় করার দক্ষতা এবং নিজেদের রক্ষা করার পারদর্শিতা।
৭। সবচেয়ে বড় পিঁপড়া
সবচেয়ে বড় পিঁপড়াগুলো সাধারণত ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। তবে পুর্বে যেসব পিঁপড়া ছিলো তাদের কিছু কিছু ৬ সেন্টিমিটার লম্বাও ছিলো।
৮। বন্যায় দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে পিঁপড়া
পিঁপড়াকে মারার জন্য আমরা সাধারণত পানির আশ্রয় নেই। অথচ জেনে অবাক হবেন পিঁপড়ারা দিব্যি বন্যায় বেঁচে থাকতে পারে। পিঁপড়েরা এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় শ্বাসের কাজ চালায়। খুব বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এরা শ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারে। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডুব দিয়েও থাকতে পারে!
৯। পিঁপড়ারা জ্ঞানী
জানেন কি পবিত্র বাইবেলে পিঁপড়াদের জ্ঞানী বলা হয়েছে। বাইবেলে আছে, “তুমি অলস, তবে পিঁপড়ার কাছে যাও। তার উপায় বিবেচনা কর, জ্ঞানী হও”। পিঁপড়াদের সাধারণত পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ের উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।
১০। এসিড ছুঁড়ে আত্মরক্ষা
কিছু পিঁপড়া নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য এসিড ছুঁড়ে দেয়! আমাজনের কিছু পিঁপড়ার প্রজাতি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের বাঁচাতে ফর্মিক এসিড ছুঁড়ে দেয়!