বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির পরিবর্তন কিংবা সংশোধনের বিষয়টি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি দেখছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিষয়টি নেত্রী সরাসরি নিজেই দেখেছেন। তার কোনো সিদ্ধান্তের আগে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। তিনি নিজে পুরো দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ছাত্রলীগের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচন করেছেন। এখন যদি এই কমিটির ব্যাপারে নতুন কোন বিবেচনা, সংশোধন কিংবা পরিবর্তন আসে, আমি মনে করি নেত্রী নিজেই তা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তার করাটাই সবচেয়ে সঙ্গত।’
এর আগে, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। নতুন কোনো নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই সম্মেলন শেষ হলেও এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরও প্রায় এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতারা। বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগবিদ্ধ অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে এবং বঞ্চিত হয়েছে অনেক ত্যাগী নেতা, এমন নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে কমিটিকে নিয়ে।