সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ারে বেগম রওশন এরশাদ

একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৫টায়।

সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার। পরে চলতি একদশ সংসদের এমপি, বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সংসদ নেতার আসনে উপবিষ্ট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসতে দেখা যায় রওশন এরশাদকে। তারপাশেই বসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ।

সংসদে জাতীয় পার্টির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে বিরোধী দলীয়নেতা হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনার অংশ নিতে তার নাম ঘোষণার সময় বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে তার নাম ঘোষণা না করে সংসদীয় এলাকার নাম উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা করার প্রস্তাব করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, সংসদীয় বোর্ডের ২৫ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনই রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা মেনে সংশ্লিষ্ট নথিতে সই করেছেন। একজন সদস্য দেশের বাইরে থাকায় নথিতে সই করতে পারেননি। তবে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় হিসেবে তিনিও সম্মতি দিয়েছেন। সর্বসম্মতিক্রমে রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে বিরোধী দলের উপনেতার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাপার সংসদীয় দলের সভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বেগম রওশন এরশাদকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়।