স্টাফ রিপোর্টার :পাবনার দাপুনিয়ার ৩ সন্তানের জননী সাবিনা ইয়াসমিন (২৮) এর গণধর্ষনের অভিযোগ আমলে নেননি পাবনা থানা পুলিশ। আবিভাবক ছাড়াই একটি প্রভাবশালী মহলের তদবীরে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষক রাসেলের সাথে ধর্ষিতা সাবিনা ইয়াসমিনের বিবাহ দিয়ে গণধর্ষন আভিযোগের বিচার নিষ্পত্তি করেছেন পাবনার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল হক।
পাবনা সদর থানায় দেওয়া সাবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত আভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগষ্ট রাতে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়ার ইউনিয়নের সাহপুর যশোদল গ্রামের ওয়াহেদ আলীর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রাসেল ও হোসেন আলী নামের দুই যুবক। রাসেল দাপুনিয়া ইউনিয়নের সাহপুর যশোদল গ্রামের আকবর আলীর পুত্র।তারা সাবিনা ইয়াসমিনকে ৩ দিন ধরে আটক রেখে রাসেল ও হোসেন ড্রাইভারসহ ৪/৫ জন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষন করে। এ ঘটনার পর কোনো মতে সাবিনা ইয়াসমিন পালিয়ে গিয়ে তার পিতা সামাদ মাঝি এবং আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় গত ৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সাবিনা ইয়াসমিনের হাসপাতালে ভর্তির রেজিঃ নং- ৫৪১৬/১০। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ঐ দিন বিকেলে পিতা সামাদ মাঝি সহায়তায় সাবিনা ইয়াসমিন ধর্ষক রাসেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় গণধর্ষনের একটি অভিযোগ দায়ের করে। পাবনা সদর থানার এস আই ইকরামকে আভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়। এস আই ইকরাম হোসেন ধর্ষক রাসেলকে গ্রেফতার করে। এরপর পাবনার একটি প্রভাবশালী মহলের তদবীরে পাবনা থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক অভিযোগটি গ্রহণ না করে রাতভর মিমাংশার নাম করে ধর্ষক রাসেলের সহিত ধর্ষিতা সাবিনা ইয়াসমিনের বিবাহ দিয়ে গণধর্ষন ঘটনার বিচার নিষ্পত্তি করেন। এ বিষয়ে উল্লেখিত গণধর্ষন অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা পাবনা থানার এস আই ইকরামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি। তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে কিছু জানতে হলে থানার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন।