নাটোর প্রতিনিধি
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের নির্দেশে গান না গাওয়ায় শাস্তি হিসাবে ৫ম শ্রেণীর একজন ছাত্রকে ৩শ বার কানধরে উঠবস করানো হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রামাগাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঐ ছাত্রের অভিভাবক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনের শিকার ছাত্র নাজমুস সাদিক রাফি ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন ও বনপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক আব্দুস সালামের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার সহকারী শিক্ষক দীপেন্দ্রনাথ সরকার ৫ম শ্রেণীতে ক্লাশ নিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি রাফিকে একটি গান গাইতে বলেন। কিন্তু সে গান জানে না জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে চায়। শিক্ষক তাতে রাজি না হয়ে তাকে আধুনিক গান গাইতে বলেন। কিন্তু রাফি তাতে রাজি না হলে ঐ শিক্ষক তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ৩শ বার কান ধরে উঠবস করার নির্দেশ দেন। পরে বাধ্য হয়ে সে কানধরে তিনশ বার উঠবস করে। এ সময় ঐ শিক্ষক বেত হাতে নিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে তার সহপাঠীরা স্বীকার করেছে। এতে বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে তার অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক দীপেন্দ্রনাথ সরকারের মোবাইলে (০১৭১৮৯৬১২০৩) কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তিনি কল কেটে দেন। এরপর বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার আমি ঐ শিক্ষককে ডেকে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। বিষয়টি আমি শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।