রনি ইমরানঃ পাবনা শহরের পেটের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতি নদী দীঘকাল প্রতিক্ষার পর অবশেষে ইছামতির উৎস মুখ মুক্ত হয়েছে।সেখান থেকেই শুরু হয়েছে ইছামতীর দুই পাড়ের অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ অভিযান।
গত সপ্তাহে ইছামতি নদীর মুখে যে অবৈধ ভাটা ও দোতালা ভবন ছিলো সেগুলো জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। এ অভিযান চলমান
দীর্ঘদিন পাবনা বাসীর প্রানের স্পন্দন বুঝে অতিগুরুত্ব দিয়ে মাঠে নেমেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন সারা দেশের অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে পাবনাতেও ইছামতি নদী উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। আগামীতেও ইছামতি নদীর দুপারে যে অবৈধ স্থাপনা আছে তার উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ এ অভিযানে এ সময় উপস্থিত উচ্ছুক জনগণ অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযানের প্রতি সাধুবাদ জানান এবং তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
পাবনার নবীন প্রবীন সাংবাদিকদের কলম ক্যামেরায় উঠে আসা ইছামতীর ডুকরে কেঁদে ওঠা নদীর আর্তনাদের চিত্র আর ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন এই কাঙ্খিত নদী খননের পথ সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে। কবিগুরু রবিন্দ্রনাথের কবিতার মত সেই টলমলে পানির স্বচ্ছ পানির ইছামতি নদী খনন হলে পাবনা শহরের সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা যোগ হবে।দুই পাশ দিয়ে সরু রাস্তা আর নদীতে টলমলে পানিতে চলবে নৌকা।
৪৫ থেকে ৫০ বছর আগে এ নদীতে পানির স্রোত উঠতো। ছেলে বুড়ো নদীতে নেমে গোসল করতো।
মালামাল আনা নেওয়া করা হতো নদীতে।
গত কয়েক যুগে নদীটি প্রান হারিয়েছে। দুই পাশের অবৈধ দখলদার আর না থাকার কারণে মৃত প্রায় এই নদীকে সচল করতে দীর্ঘদিন মাঠে সক্রিয় সভা সমাবেশে করছেন নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সাথে পাবনার স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ।
পাবনার সাবেক জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো ও জসিম উদ্দিন তারা এ নদী উদ্ধারে সোচার ছিলেন।বর্তমান জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ এই নদী উদ্ধারে ভালো ভূমিকা রাখছেন।
এই ইছামতি নদী খনন করে একটি সুন্দর সাজানো একটি শহর দেখতে চায় পাবনাবাসী।