সুজন মৃধা, কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ হাতে ছিলোনা একটি টাকাও বোনের ছেলের কাছ থেকে ষোল হাজার টাকা ধার করে তা দিয়ে ৪০০টি হাঁসের বাচ্চা কিনে মাত্র আড়াই মাস পালন করে আজ নাসিমা বেগম লাখপতি। তার দেখা দেখি এলাকার অনেকেই হাঁস পালন করছে। পটুয়াখালী কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের কলাউপাড়া গ্রামের নাছিমা বেগম স্বামী হেলাল ফকির এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে। পায়রা বন্দরে ভ’মি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে একজন নাসিমা বেগম। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার হিসেবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় হাঁস পালনে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ তিনি স্বাবলম্বী। ৪০০টি হাঁসের বাচ্চা পালন করে মাত্র আড়াই মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালিক নাসিমা বেগম।
নাসিমা বেগম জানান, আমার হাতে কোন টাকা ছিলোনা। বোনের ছেলের কাছ থেকে ষোল হাজার টাকা ধার করে হাঁসের বাচ্চা কিনেছি, এখন আড়াই মাসের ব্যবধানে এক একটি হাঁসের দাম প্রায় তিনশত টাকা হয়েছে। আমি এ হাঁস বিক্রি করবোনা। কয়েক মাস পালন করলে হাঁসে ডিম দিবে, তখন ডিম বিক্রি করবো।
প্রতিবেশী রাহেলা বেগম জানান, নাসিমার দেখা দেখি আমি হাঁস পালন করেছি। আমার এখন সত্তরটি হাঁস ও মুরগি রয়েছে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পায়রা বন্দর শাখার ম্যানেজার (প্রিন্সিপাল অফিসার) মোঃ আতিকুর রহমান জানান, ভ’মি অধিগ্রহনে পায়রা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্থদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং দশ টাকার মাধ্যমে এ্যাকাউন্ট খোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করেছি। নাসিমা বেগমকে আমরা একলক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করেছি।