সরকারি ভাবে শিশুর সুশিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে। ঠিক তখনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হরিতলা বাজারে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। রাস্তার পাশে বিদ্যালয়ে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এসব নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে এখানে আবাস গড়েছে মশার। ফলে এখান থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে মশরার উপদ্রব। যা ছড়িয়ে পড়ছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবং দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসি ও অভিভাবকরা জানান, তাহেরপুর পৌরসভার হরিতলা বাজারে অবস্থিত পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় শতরোও বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়ালেখা করছেন। কিন্তু স্কুলের ভেতর ময়লা-আবর্জনা স্তুপ থাকায় সেখানে বাসা বেধেছে মশারা। আর রক্ষণা-বেক্ষণের কোনো উদ্যোগ গ্রহন না থাকায় যেন মশাদের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একটি সুত্র জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে সিএন্ডবির রাস্তা জবর দখল করে নিয়ে ১টি চায়েরষ্টল,২টি মিষ্টান্ন ভান্ডার ও ১টি খাবার হোটেলসহ বেশকেছু দোকানপাট গড়ে তলা হয়েছে। আর এ সকল দোকানের প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা স্কুল বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় স্কুল ছুটি বা বন্ধ হয়ে গেলে স্কুলের ভেতর ময়লা ফেলে সেখানে দুর্গন্ধ ভাগাড়ে পরিণত করে দোকানিরা। এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ দু একদিন দিনের বেলায় দুর্গন্ধ ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করলেও দোকানীরা রাতে বেলায় আবারো ময়লা ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করে। সোমবার সকালে সরজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখাগেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখে মনে হচ্ছে মাসে পর মাস ময়লা গুলো সেখানে পড়ে আছে। এবং সেখান থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে স্কুলের কচিকাচা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যহানী ঘটছে। এছাড়া পানি বন্ধি হয়ে থাকার কারনে মশা মাছির বংশ বিস্তার হচ্ছে। এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ ময়লা সাফ না করায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে এখানকার অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি বাউন্ডারি ওয়াল দেয় তাহলে দোকানিরা আর ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারবে না। এবং ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ভালো মত চলবে। এবিষয়ে তাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান,দোকানিরা সিএন্ডবির রাস্তা জবর দখল করে গড়ে তলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক দোকানঘর। আর সেইসব দোকান ঘরের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনা স্কুল বাউন্ডারির ভেতর ফেলা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের বেঘাত ঘটছে। এবং আমি এব্যাপারে তাদেরকে বার বার মুখে বলেও কাজ না হওয়ায় আমার উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের কর্তৃপক্ষসহ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়রকে জানিয়েছি। তবে মেয়র আগামী দশ দিনের মধ্যে দোকানঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাবার জন্য পৌরসভা কর্তৃক নোটিশ জারি করেছেন বলে এই প্রধান শিক্ষক জানান।