নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের হাট-বাজার গুলো মেয়র-চেয়ারম্যানের সহতায় ইজারদার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দখলে রয়েছে। তারা ইচ্ছামত খাস সম্পত্তি জবর দখল করে পজিশন বিক্রি করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিতছেন। এবং টোল আদায়ের নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করছে। এছাড়া বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা সাব ইজারাদারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। হাট-বাজার গুলোতে পন্য বিক্রির তুলনায় চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে ইংরেজদের ন্যায় অত্যাচার করলেও যেনো দেখার কেউ নাই। তাই ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে টোল আদায়ের নামে পরিবহন চালকদের জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ তো রয়েছেই। দুর দুরান্ত থেকে হাট-বাজারে আসা ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের হাটের মোড়ে মোড়ে লাঠি-শোাঠা হাতে পাহারা বসিয়ে টোল আাদয়ের নামে প্রতিদিন এই চক্রটি হতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রায় সময় টোল আদায়ের নামে রাস্তার ওপর পরিবহন আটকিয়ে তারা চালকদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করা হচ্ছে। এছাড়া হাট সংলগ্ন বিভিন্ন সরকারি খাস সম্পত্তি বিক্রি করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও ইজারদারগণ প্রায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবারো হাটের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মুল্যের সরকারি সম্পত্তি জবর দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করেন। আর এসব ঘরের পজিশন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটের এক তরকারী ব্যবসায়ী বলেন, তারা প্রথমে টিনের ঘর তৈরী করে পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পজিশন বিক্রি করে দেন। এটাই তাদের আসল ব্যবসা আর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি সেটা তো রয়েছেই। চলতি বছরে হাট-বাজার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মেয়র-চেয়ারম্যানের সহতায় হাট ইজারা নিয়ে যেখানে সেখানে অবৈধ ভাবে মার্কেট ও লাঠি-শোাঠা হাতে নিয়ে পাহারা বসিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করছে। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের লাঠি পেটা করার হুমকি দিয়ে হাট-বাজারসহ এলাকা ছাড়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ সময় ঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এক ইজারদার দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন, এসব লিখে লাভ নাই ভাগ যায় ওপর মহলে। তারা হাট ইজারা নিয়েছেন হাটের ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব তাদের।এছাড়া টোল আদায়ের নামে চলছে ব্যাপক চাদাঁবাজি। তবে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী ও তদারকি না থাকার কারণে এই টোল আাদয়ের নামে প্রতিদিন এই চক্রটি হতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রায় সময় টোল আদায়ের নামে রাস্তার ওপর পরিবহন আটকিয়ে চালকদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করা হয়। এতে টোল আদায়ের নামে মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। স¤প্রতি রাজশাহীর নবাগত জেলা প্রশাসক আব্দুল হামিদ বলেছেন,হাট-বাজারের রাস্তা ঘাটের চরম ব্যহাল অবস্থা। এখানে অল্পতে মারাত্বক জ্যাম পড়ে যায়। এবং দলীয় কে ক্ষমতাবান কে আপন কে পর সেসব বিষয় প্রাধান্য না দিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জেলাজুড়ে হাট-বাজার গুলোর কোনো যানজোটের জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এবং হাট-বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করারও ব্যবন্থা করা হয়নি। তবে সব মিলিয়ে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের হাট-বাজার গুলো এখনো ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দখলে রয়েছে। যেনো প্রসাশনের দেখার কেউ নাই।