আবু ইসহাক,সাঁথিয়াঃ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রামে এক কৃষকের বুদ্ধিমত্তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা কররেন ৮ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীর। উপজেলার গৌরিগ্রাম ফাতেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ও গৌরিগ্রাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান কালুর মেয়ে রিনা খাতুন। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার সন্ধ্যায়।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গৌরিগ্রাম থেকে একজন কৃষক হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ৮ম শ্রেণরি ছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে জানান। এ খবর পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম পুলিশসহ ওই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ ও কাজী মোক্তার হোসেন পালিয়ে যান। এ সময় বিয়ের সাজে মাদ্রাসা ছাত্রী রিনা খাতুন জানায়, তার মতামত উপেক্ষা করে অভিভাবকরা তাকে বিয়ে দিচ্ছিলেন। সে লেখাপড়া করতে চায়। পরে ওই ছাত্রীর বাবা তার মেয়েকে ১৮ বছর পূরণের আগে বিয়ে দেবেন না বলে ইউএনও এর কাছে মুচলেকা দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের সময়কে আরও জানান, তথ্য গোপন করে মোক্তার হোসেন নামের এক কাজী বিয়ে রেজেষ্ট্রি করতে চেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ বাল্যবিয়ে বন্ধে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন