মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৫ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
২৭ আগস্ট দশমাইল সাদিপুর স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে ‘ইয়াসমিন ট্রাজেডির ২৪ বছর পূর্তি দিবস উদযাপন ও নিহতদের স্মরণে আয়োজিত ‘স্মরণ সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী নেতা ও সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এসব কথা বলেন।
শহীদ সামু-কাদের-সিরাজ স্মরণ কমিটির আহবায়ক মো. মজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দিনাজপুর নাট্য সিমিতির সভাপতি ও দৈনিক আজকের দেশবার্তা পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক চিত্ত ঘোষ এর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুই, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার,
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ কুমার বকসী বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আটিস্ট, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সুন্দরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ উদ্দিন আহম্মদ, সুন্দরপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বজলুর করিম বাবুল।
এর আগে ইয়াসমিন আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও এমপি গোপালের পিতৃবিয়োগে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কাহারোল দশমাইলে পূর্ব সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ইয়াসমিন ট্রাজেডির আন্দোলনে শহীদ সামু-কাদের-সিরাজ নামকরণে নব-নির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট কিছু বিপথ গামী পুলিশ সদস্য কিশোরী ইয়াসমিনকে ধর্ষনের পর শ^াস রোধ করে হত্যা করে। তারই প্রতিবাদে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার চূড়ান্ত রুপ নেয় ২৭ আগস্ট। সেদিন বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে সামু, কাদের, সিরাজসহ ৭ জন নিহত হয়। সেই থেকে তাদের স্মরণে ২৭ শে আগস্ট স্মরণ সভা পালিত হয়ে আসছে।