বিশেষ প্রতিবেদক
১৫ আগষ্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে এবং রাষ্ট্র ঘোষিত শোকের মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। জাতি মস্তক অবনত করে শ্রদ্ধাভরে পালন করছেন শোকের মাস আগষ্ট। আর সেই শোকের মাসেই নৌ-ভ্রমন এবং চড়ুইভাতির নামে প্রমোদ ভ্রমনে গিয়েছিলেন প্রায় ৩০ বছর ধরে সুষ্ঠুভাবে কর্মকান্ড পরিচালনাকারী মূল ধারার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘চাটমোহর প্রেসক্লাব’ এর নাম ব্যবহারকারী কথিত কিছু স্থানীয় সাংবাদিক। তাদের এই প্রমোদ নৌকা ভ্রমনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চাটমোহরের সচেতন মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাদের মাঝে শোকের লেশ মাত্র না থাকা এবং আনন্দ প্রমোদ ভ্রমনে গিয়ে বিতর্কিত হওয়ায় চাটমোহরে কর্মরত প্রকৃত সাংবাদিকগণ ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্র যখন শোকে মুহ্যমান তখন চলনবিলের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের নামে হৈ-হুল্লো করে নৌ-ভ্রমন, চড়ুইভাতি এবং র্যাফেল ড্র করেন ওই সকল ব্যক্তি। বঙ্গবন্ধু ও শোকের মাসের প্রতি অশ্রদ্ধা করে এবং মূলধারার সংগঠন চাটমোহর প্রেসক্লাবের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ করতে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হেলালুর রহমান জুয়েল, অনিয়মিত সাপ্তাহিক চাটমোহর বার্তা সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান, অনিয়মিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রনি, অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন বিহীন পোর্টাল স্বাধীন খবর এর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রাক্তন প্রতিনিধি এমএস আলম বাবলু, অনলাইন জাগরণী পোর্টালের প্রতিনিধি মহিদুল ইসলাম খান, কৃষকলীগের চাটমোহর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সেখ সালাহউদ্দিন ফিরোজ, বোথরে অবস্থিত বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের গেম টিচার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ময়নুল, আলমগীরসহ ১০/১২ জন ওই নৌ-ভ্রমনে অংশ নেন।
শুক্রবার সকালে চাটমোহরের এসকল বিতর্কিত সাংবাদিকরা চলনবিল পর্যটন পার্ক ও তিসীখালী ঘাসি দেওয়ান (র.) মাজার, খুবজিপুর জাদুঘর, বিলসা ডুবন্ত সড়ক ভ্রমনে বের হন। প্রমোদ ভ্রমনে অংশ গ্রহনকারী অধিকাংশ নামধারী সাংবাদিকরা পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষমতার লোভে চাটমোহর প্রেসক্লাবের নাম, পদ-পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন বিশেষ সুবিধা নিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিক নামধারী এসকল ব্যক্তি গত ১৫ আগষ্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকীতে ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকি পালন করে সমালোচিত হয়।
শোকের মাসে এই নৌ-ভ্রমন এবং পিকনিকে নামে আনন্দ-উল্লাস করার ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেন ধনী দৈনিক চলনবিলকে জানান, যারা এই ভ্রমনে গিয়েছিল তারা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার সাথে বেঈমানী করেছেন। যারা নৌ-ভ্রমনে গিয়েছেলেন তাদের বিরুদ্ধে লেখা-লেখি অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
এদিকে তথাকথিত সাংবাদিকদের শোকের মাসে এই ভ্রমন এবং পিকনিক করায় প্রকৃত সাংবাদিগণ স্থানীয় সচেতন মহলের কাছে প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছেন। তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মার সাথে বিরুদ্ধোচারণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে পাবনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেছেন।