কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ভারতীয় পুরুষরা ভিন্ন একটি বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে কাশ্মীরি তরুণীদের বেশি করে খুঁজছেন তারা। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কাশ্মীরি তরুণীদের নিয়ে পোস্ট করছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভারতীয়রা এখন মরিয়া হয়ে খুঁজছেন কাশ্মীরি তরুণী এবং তাদের বিয়ে করার উপায়। কাশ্মীরি ললনাদের খোঁজে যেন একেকটি রাজ্যের পুরুষরা প্রতিযোগিতায় লেগেছেন।
নিউজ১৮-এর খবরে বলা হয়, গুগলে ভারতীয়দের খোঁজ করা কি-ওয়ার্ডের তালিকার উপরে আছে- ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’, ‘কাশ্মীরি গার্ল পিক’, ‘গেট কাশ্মীরি গার্ল’ এসব।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে দেশটির কেরালা রাজ্য। রাজ্যটিতে গত তিনদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’ লিখে গুগলে সার্চ করেছেন। আর কর্নাটকের অবস্থান দ্বিতীয়। এছাড়া দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গনার অবস্থান যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম। ষষ্ঠ স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ
দেশটির অপর সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ আগস্ট গুগলে যে সব কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভারতীয়রা বেশি খুঁজছেন তা হচ্ছে- ‘কাশ্মীরি গার্ল’, ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’। একই সঙ্গে কাশ্মীরে জমি কেনার বিষয়টিও খোঁজা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের হারিয়ানা রাজ্য থেকে বেশি অনুসন্ধান করা হয়েছে।
৩৭০ ধারা বিলোপের আগে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পুরুষরা কাশ্মীরি নারী বিয়ে করতে পারতেন না কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারতীয় আইন বলছে, অবশ্যই পারতেন। বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত জম্মু-কাশ্মীরের মেয়েরা তাদের রাজ্যের বাইরে বিয়ে করলে আইনত বাঁধা নেই। তবে সেক্ষেত্রে বিয়ের পর তারা বাবার বাড়ির সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে এখন থেকে ভারতীয় পুরুষরা কাশ্মীরি মেয়েদের সঙ্গে সম্পত্তিও পাবেন।
কাশ্মীরকে বলা হয় পৃথিবীর ভূস্বর্গ। এখানে টিউলিপ ফুলের বাগান সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ। এছাড়া কাশ্মীরের আপেল ও আঙ্গুর পুরো ভারত বর্ষে জনপ্রিয়।