সিলেটের বিশ্বনাথে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের পরকীয়া প্রেমিক আলম মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মুকসেদপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ও বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া এলাকার লম্বা কলোনীর বাসিন্দা। সোমবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিশ্বনাথ উপজেলা নতুন বাজারস্থ আছকির মিয়ার বাসায় এঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই এক সন্তানের জননীর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায়। বর্তমানে তিনি স্বামী পরিত্যক্তা মায়ের সঙ্গে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ আছকির মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়ে হিসেবে বসবাস করে আছেন। তার স্বামী একজন ওমান প্রবাসী। ১৯ বছর বয়সী ওই ভিকটিম মহিলা নিজে আজ বুধবার (৭ আগস্ট) বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিকেলেই অভিযুক্ত আলম মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত আলম মিয়া সাহায্য সহযোগিতা করার জন্যে প্রায়ই তার (ভিকটিম) স্বামী পরিত্যক্তা মায়ের ঘরে আসা-যাওয়া করত এবং তার মা আলমকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিতেন। ঘটনার ১০দিন পূর্বে ভিকটিম মহিলা চট্টগ্রাম থেকে বিশ্বনাথে তার মায়ের বাসায় আসেন। কয়েকদিন পর ভিকটিমের ছোট ভাইবোনকে নিয়ে তার মা নানা বাড়ি সুনামগঞ্জে যান। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত এগারোটার দিকে আলম দোকান থেকে চা নিয়ে এসে তাকে (ভিকটিম) মহিলাকে খেতে দেয়। চা পান করার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ২টার দিকে আলম মহিলার (ভিকটিম) অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ও তাকে জোরপূর্ক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলার মা সাংবাদিকদের জানান, আলমের সাথে আমার বিয়ে হয়নি। তার সাথে ‘সম্পর্ক’ থাকায় সে প্রায় আমার ঘরে আসতো।আলমকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।