দিয়া মির্জা ভারতের একজন মডেল, অভিনেত্রী ও একই সঙ্গে প্রযোজকও বটে। ২০০০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক খেতাব অর্জন করেন তিনি। গণমাধ্যমে সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য পরিচিত তিনি। তিনি তার স্বামী সাহিল সাংঘার সাথে বর্ন ফ্রি এন্টারটেইনমেন্ট নামক প্রযোজক সংস্থার স্বত্বাধিকারী।
সাহিল সঙ্ঘের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সোশাল হ্যান্ডেলে সাহিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন দিয়া। জানিয়ে দেন, দুজনে আলোচনা করে তবেই তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সাহিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তারা একে অপরের ভালো বন্ধুও থাকবেন বলে জানান তিনি।
দিয়া মির্জা ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর বিয়ে করেন সাহিলকে। তারা বিয়ের আগে ও পরে ১১ বছর ধরে একে অপরকে চিনতেন, ভালোবাসতেন। বিয়ের আগে দিয়া আর সাহিল একই ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরস্পর থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে দিয়া মির্জা এবং সাহিল সঙ্ঘের বিচ্ছেদের ঘোষণার পর বি টাউনে যখন কানাঘুষো শুরু হয়, সেই সময় সামনে আসে আরো একটি খবর। জানা যায়, বলিউডের অন্যতম চিত্রনাট্যকার কণিকা ধিলনের সঙ্গেও নাকি তার স্বামীর বিচ্ছেদ হচ্ছে। একই দিনে বলিউডের দুই সেলবের বিচ্ছেদের খবর পাওয়ার পরই আরো একদফা জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
শোনা যাচ্ছে, দিয়া মির্জার স্বামী সাহিলের সঙ্গে চিত্রনাট্যকার কণিকার সখ্যতা নাকি বাড়তে শুরু করেছে। যদিও সাহিলের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথা অস্বীকার করেন কণিকা। তিনি দাবি করেন, দিয়া মির্জা এবং তার স্বামী সাহিল সঙ্ঘর সঙ্গে নাকি তার কোনোদিন দেখাই হয়নি। একই দিনে পরপর দুটি বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ পাওয়ায়, যেন কোনোভাবেই একটির সঙ্গে অপরটিকে মিলিয়ে দেয়া না হয়। শুধু শুধু এই দুটি ঘটনাকে মিলিয়ে দেয়া উচিত নয় বলেও স্পষ্ট জানান কণিকা।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, টেলি অভিনেতা মোহিত রায়নার সঙ্গে নাকি বন্ধুত্ব বাড়ছে দিয়া মির্জার। যদিও এ বিষয়ে দিয়া কিংবা মোহিত, কেউই কোনো মন্তব্য করেননি। প্রসঙ্গত, টেলি অভিনেত্রী মৌনি রায়ের সঙ্গে এক সময় সম্পর্কে জড়ান মোহিত। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়।
দিয়া ২০০১ সালে ‘রেহেনা হে তেরে দিলমে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন।‘সঞ্জু’ ছবিতে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন এ অভনেত্রী।