। আমিরুল ইসলাম রাঙা ।
আব্দুর রব ( বগা মিয়া) পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ছিলেন, পাবনার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ত সহচর। শুধু এটুকু বললে ভুল হবে -!!? তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে অত্যান্ত শ্রদ্ধাভাজন !! বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধার সাথে উনাকে বগা ভাই বলতেন। আর বগা মিয়া বঙ্গবন্ধুকে নাম ধরে ডাকতেন। অবশ্য প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে নেতা বলে সম্বোধন করতেন। আব্দুর রব ( বগা মিয়া) সম্পর্কে লেখতে গেলে প্রাসঙ্গিকভাবেই বলতে হবে, তৎকালীন সময়ে তিনি ছিলেন, পাবনায় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সবচাইতে বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা।
১৯৫৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আতাউর রহমান খান পাবনা সফরে এলেন। আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা কমিটি গঠন করলেন। উক্ত কমিটি আব্দুর রব বগা মিয়ার প্রস্তাবে তাঁর থেকে ৩ বছরের ছোট ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলীকে সভাপতি করা হয়। তিনি হয়েছিলেন উক্ত কমিটির সাধারন সম্পাদক। সেদিন বঙ্গবন্ধু সহ উপস্থিত সবাই চেয়েছিলেন, আব্দুর রব (বগা মিয়া) বয়সে সিনিয়র হওয়াতে তিনি হোক সভাপতি। কিন্তু বগা মিয়ার অনড় অবস্থানের কারণে উনি সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শুধু এতটুকু নয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান, ত্যাগ এবং সততার বিরল দৃষ্টান্ত রয়েছে। এরপর তৎকালীন সভাপতি ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহন করলে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ শুন্য হয়ে পড়ে। তখন তিনি তাঁর থেকে প্রায় ৮ বছরের ছোট মোঃ আমজাদ হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। প্রায় ১৫ বছর মোঃ আমজাদ হোসেন সভাপতি এবং আব্দুর রব বগা মিয়া সাধারন সম্পাদক ছিলেন। উনার ত্যাগের আরেকটি ঘটনা আছে, সেটা হলো ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট তাঁকে সুজানগর – বেড়া আসনে প্রার্থী ঘোষনা করার পর ঐ এলাকার প্রবীন নেতা মাওলানা রইস উদ্দিন পাবনা এসে আব্দুর রব বগা মিয়াকে ঐ আসনটি তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বগা মিয়াকে তিনি বলেন, সে বৃদ্ধ মানুষ জীবনের শেষ ইচ্ছে তিনি সংসদ সদস্য হতে চান। বগা মিয়া তাঁকে আসনটি ছেড়ে দিলে তিনি কৃতজ্ঞ হবেন। এরপর বগা মিয়া উনাকে নিয়ে ঢাকায় যান এবং শরীকদলের প্রার্থী মাওলানা রইস উদ্দিনকে উক্ত আসন ছেড়ে দেন।
উল্লেখ্য ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়। সেই সরকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মন্ত্রী হয়েছিলেন।
১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন এম,এন,এ নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে আব্দুর রব ( বগা মিয়া) ছিলেন আমজাদ হোসেনের প্রস্তাবকারী এবং প্রধান নির্বাচন পরিচালনাকারী। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে মোঃ আমজাদ হোসেন ( পাবনা, ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া আসন) এমএনএ নির্বাচিত হন এবং ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে পাবনা সদর আসন থেকে আব্দুর রব (বগা মিয়া) এমপিএ নির্বাচিত হন। এটাই আব্দুর রব ( বগা মিয়া) এর প্রথম নির্বাচন। সেই নির্বাচনের তিন মাসের মধ্যে শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ।
এক বছরে ঘটে গেল শত বছরের ইতিহাস। জাতি হারালো ত্রিশ লক্ষ মানুষ। সম্ভ্রম হারালো দুই লক্ষ মা-বোন। দুই কোটি মানুষের বাড়ীঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হলো। রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট ধ্বংশ করা হলো। নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জন হলো স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতি ফিরে পেল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ফিরে আসতে পারলো না লক্ষ লক্ষ সূর্য সন্তান। এই এক বছর সময়কালে পাবনায় ঘটে গেল অনেক বড় ঘটনা। তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং আওয়ামী লীগের প্রধান নেতারা পৃথিবী থেকে চীর বিদায় নিলেন।
১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের ৫ দিন পর ২২ ডিসেম্বর রাতে খুন হলেন সাঁথিয়া-বেড়া থেকে নির্বাচিত এমপিএ আহমেদ রফিক। পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর নিজ বাড়ীর সামনে নক্সালদের হাতে খুন হন। আহমেদ রফিক পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন । এর তিনমাস পর ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং ঈশ্বরদী – আটঘরিয়া থেকে নব নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ( এমপিএ ) এডভোকেট আমিন উদ্দিনকে। ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানী আর্মীরা বিসিক শিল্পনগরীর সেনাক্যাম্পে তাঁকে হত্যা করে। তার ৭ দিন পর ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ( এমএনএ ) মোঃ আমজাদ হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করলেন । মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে পাবনায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতার মৃত্যুবরনের পর আব্দুর রব ( বগা মিয়া) পাবনায় দলের হাল ধরেন এবং মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস তিনি দক্ষতার সাথে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলেন। রাষ্ট্রপতি এক অধ্যাদেশ জারী করে ১৯৭০ সালে নির্বাচিত ১৬৯ জন এমএনএ এবং ৩০০ জন এমপিএ কে এমসিএ ( মেম্বার অব প্রভিশনাল কন্সটিটিউশন) করলেন । আব্দুর রব ( বগা মিয়া) এমসিএ হলেন।জাতীয় সংসদে এমসিএ হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করলেন । উনাকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য করা হলো । সংবিধান রচনা হওয়ার পর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হলো। উনাকে পাবনা সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি পদপ্রার্থী করা হলো। উক্ত নির্বাচনে মাত্র ১০ দিন পুর্বে ২৫ ফেব্রুয়ারী সকালে নির্বাচনী প্রচারনায় যাবার সময় বর্তমান বাসটার্মিনাল সংলগ্ন বিআরটিসি ডিপোর সামনে জীপ গাড়ী দুর্ঘটনায় পতিত হন। মারাত্মক আহতবস্থায় উনাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৭৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী আব্দুর রব (বগা মিয়া) যখন মৃত্যুবরন করেন তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাটোর উত্তরা গনভবনে অবস্থান করছিলেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু পাবনায় ছুটে আসেন। ইতিমধ্যে আব্দুর রব বগা মিয়ার মরদেহ হাসপাতাল থেকে তাঁর বাড়ীতে ( টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সামনে হেরাজ ম্যানশন) আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বগা মিয়ার মরদেহ দেখে শিশুর মত কাঁদতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু বুক চাপরিয়ে চাপরিয়ে কাঁদচ্ছিলেন আর বগা মিয়ার প্রতি ভালবাসার কথা ব্যক্ত করছিলেন। ১৯৫৩ সালে পাবনা এসে যে বগা মিয়াকে তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বানিয়ে গিয়েছিলেন ঠিক ২০ বছর পর ১৯৭৩ সালে পাবনায় এসে সেই বগা মিয়াকে চীরবিদায় জানালেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যতবার পাবনায় এসেছেন তার বেশীরভাগ সময় তিনি আব্দুর রব বগা মিয়ার বাড়ীতে এসেছেন। সেখানে খাওয়া দাওয়া করতেন । বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর ৩ বার পাবনায় এসেছিলেন । উনি স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী, ১০ মে এবং ৭৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী শেষবার পাবনা এসেছিলেন।
উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুর রব (বগা মিয়া) কে মনোনয়ন দেওয়া হলে পাবনার প্রভাবশালী কিছু আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল গনিকে মোমবাতি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাড় করিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে জাসদের মশাল মার্কায় প্রার্থী ছিলেন মোঃ ইকবাল হোসেন এবং ন্যাপের কুঁড়ে ঘর মার্কায় প্রার্থী ছিলেন আমিনুল ইসলাম বাদশা। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বঙ্গবন্ধু খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাবনার ১১ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। কথিত আছে উনাদের বহিষ্কার করে বঙ্গবন্ধু তাঁর নিকটজনদের কাছে বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পরেও যেন চক্রান্তকারীদের দলে না নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর সেই বহিষ্কৃত নেতাদের দুই একজন আওয়ামী লীগে ফিরতে পারলেও বেশীর নেতা আর কোনদিনই ফিরতে পারেন নাই।
যাইহোক আব্দুর রব ( বগা মিয়া) মৃত্যুবরনের পর পাবনার নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় তফসিল ঘোষনা করা হলে এডভোকেট আমজাদ হোসেন ( ছোট আমজাদ) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন । সেই নির্বাচনে এডভোকেট আমজাদ হোসেন বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য ( এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন । পরে মরহুম আব্দুর রব (বগা মিয়া) এর সহধর্মিণী জাহানারা রবকে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন ( পাবনা ও বগুড়া জেলা) থেকে সাংসদ সদস্য ( এমপি) করা হয়েছিল।
আব্দুর রব ( বগা মিয়া) এর পূর্ন নাম সৈয়দ ফজলে এলাহী আব্দুর রব ওরফে বগা মিয়া। পিতা মোঃ ছাবকাত হোসেন এবং মাতা মহিতুন নেছা । ঠিকানা পাবনা শহরে শিবরামপুর মহল্লা। বাবা ছিলেন অবিভক্ত ভারতের ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর। বাবার চাকুরীসুত্রে ১৯১৬ সালের ৩১ অক্টোবর রংপুর শহরে আব্দুর রব ( বগা মিয়া) জন্মগ্রহণ করেন। উনি শিক্ষাজীবনে অনেকদিন কলকাতাতে ছিলেন। কলকাতা থাকাকালীন সময়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সাথে পরিচয় এবং সম্পর্ক হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর আব্দুর রব বগা মিয়া পাবনা শহরে চলে আসেন। পাবনায় ব্যবসা বানিজ্য শুরু করেন। পাশাপাশি রাজনীতি এবং সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬২ সালের শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ৬৭ সালে ভূট্টা আন্দোলন, ৬৮ থেকে ৬৯ এর গণআন্দোলন করতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছিলেন।
আব্দুর রব ( বগা মিয়া ) ১৯৭৩ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী মাত্র ৫৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে যান। পরিতাপের বিষয় এমন একজন মহৎ নেতার মৃত্যুর এতবছর পরেও পাবনায় তাঁর নামে উল্লেখ করার মত কিছু করা হয়নি। তাঁর মত এমন একজন ব্যক্তির বিষয়ে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই কিছু জানেনা। পরিশেষে বর্তমান সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আহবান জানাই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আব্দুর রব বগা মিয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে এগিয়ে আসুন।
সমাপ্ত –
লেখক পরিচিতি –
আমিরুল ইসলাম রাঙা
রাধানগর মজুমদার পাড়া
পাবনা।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
তথ্যসুত্র ঃ-
১. বঙ্গবন্ধু রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ
২. শেখ মোহাম্মদ সুমন – গবেষক, নীলমন গ্যালারী