বিশ্বনাথে বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ, ঝুঁকিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বড় একটি রেন্টি গাছ রয়েছে। ফলে ওই বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা রয়েছে বেশ ঝুঁকিতে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাবি গাছটি কাটার জন্য কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যখানে গাছটি হওয়ায় অনেক সময় গাছের ডাল-পালা উপড়ে পড়ে। এতে যে কোনো সময় শিক্ষার্থীদের উপরে পড়তে পারে এমন আশংকাও রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৭২ সালে ৩৪ শতক জমি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ৪টি শ্রেণি কক্ষ একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো একটি রুম টিনের চালাই রয়েছে। ঠিক বিদ্যালয় ভবনের সামনে একটি গাছ রেন্টি গাছ লাগানো রয়েছে। যার মধ্যে বিশাল আকৃতি। গাছের নিচেই শিক্ষার্থীরা মনের আবেগেই খেলাধুলা করে। গাছের ডাল-পালা পড়ে গিয়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসান আক্তার মীম বলেন, গাছটির নিচেই আমরা খেলাধুলা করি। মাঝে মধ্যে বাতাস আসলেই গাছটি থেকে বড় বড় ডাল মাটিতে পড়ে যায় তখন খুব ভয় লাগে।বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি আহমদ বলেন, বিদ্যালয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ওই গাছের নিচে দিয়ে ভয়ে ক্লাস রুমে প্রবেশ করতে হয়।জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন, গাছটি বিদ্যালয়ের মাঠে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। একটু ঝড় উঠলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে গাছটি সরানোর জন্য একাধিক বার আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। কিন্তু এরপর গাছটি সরানো হচ্ছেনা। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে গাছটি সরানোর উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহবান জানান।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠের গাছটি সরানোর জন্য অনেক আগেই আমরা ইউএনও অফিসে রির্পোট দিয়েছি। তবে গাছটির ডাল-পালা ছাটাই করার জন্য বলা হয়েছে। তবে বন বিভাগের অনুমোদন পেলেই গাছটি কেটে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সদ্য যোগদানকারী নবাগত ইউএনও বর্ণালী পাল চৌধুরী ছুটিতে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।