স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত মাছ চাষী আশরাফ আলী খান ডুবুরি সাত মাস ধরে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন

নদীতে অভয়াশ্রম করে চিতল মাছের রেণু পোনা উৎপাদন এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত মাছ চাষী আশরাফ আলী খান ডুবুরি আজ মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর চরম ভক্ত আশরাফ আলী খান ডুবুরি দীর্ঘ সাত মাস ধরে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরদী,পাবনা,রাজশাহী ও খুলনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও কেউ তার খোঁজ নেয়নি। এমনকি দরিদ্র এই ডুবুরির চিকিৎসার জন্য সাহায্য দিতেও কেউ এগিয়ে আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর সুনাম বৃদ্ধি কল্পে বঙ্গবন্ধু ভক্ত এই ডুবুরি প্রায় পনের বছর ধরে তার নিজস্ব অভয়াশ্রমে ড্রাম পদ্মতিতে চিতল মাছের রেণু পোনা উৎপাদন করে দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। চৌঁত্রিশ বছর ধরে ডুবরির কাজ করেছেন। পাবনা জেলার অনেক কর্মকর্তা তার অভয়াশ্রম পরিদর্শণ করে প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক ভিভিআইপি,ভিআইপি ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আপায়ন করা হয়েছে তার উৎপাদিত মাছ দিয়ে। েিজর সংসারের কাজ ফেলে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহসহ মৎস্য বিভাগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে আশরাফ ডুবুরিসহ তার লোকজনকে অংশ গ্রহন করতে দেখা গেছে। সাংবাদিকদের দেখে শুক্রবার সকালে অশ্রুসিক্ত নয়নে আশরাফ আলী খান ডুবুরি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে কাঁদছিলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন আমাকে বাঁচাও। আমার মা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাও। তিনি জানতে পারলে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশের অনেক গরীব ও নামী দামি ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে বাঁচিয়েছেন। জানতে পারলে আমার মা ,বিশ্ব মানবতার মা ’শেখ হাসিনা নিশ্চয় আমাকেও বাঁচাবেন। এ কথা গুলো সাংবাদিকদের বুঝিয়ে বলেন,আশরাফ আলী খান ডুবুরির সহধর্মিনী রেণু বেগম।